এপোস্টল সনদ স্বাক্ষরের অনুমোদন, বছরে সাশ্রয় হবে ৫০০ কোটি টাকা

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদছবি: বাসস

বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে নানা ধরনের সনদ, দলিল, হলফনামার মতো প্রয়োজনীয় কাগজ ভবিষ্যতে বাংলাদেশে যথাযথভাবে সত্যায়ন করা হলে বিদেশে তা আবার সত্যায়িত করতে হবে না। এতে করে বছরে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।

আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এপোস্টল সনদ স্বাক্ষরের অনুমোদনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় নিজ মন্ত্রণালয়ে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, প্রস্তাবটি সোমবার মন্ত্রিসভায় পাস হয়েছে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সিদ্ধান্ত আজ মন্ত্রিসভা দিয়েছে। এটি কার্যকর হলে শিক্ষার্থী, অভিবাসী, কর্মী, পারিবারিক পুনর্মিলনপ্রত্যাশীসহ বিদেশগামী সবার যে নানা কাগজপত্র এ দেশে এবং বিদেশের দূতাবাসসহ নানা দপ্তরে সত্যায়নের প্রয়োজন হয়, সেটি শুধু এ দেশে সত্যায়ন করলেই হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সব দেশের দূতাবাস নেই। ৯০টি দেশের দূতাবাস রয়েছে দিল্লিতে। সেখান থেকে সত্যায়ন করে আনতে আবার ভারতের ভিসা লাগে। এসব মিলিয়ে যে অর্থ, সময় ও পরিশ্রম ব্যয় হয়, এপোস্টল সনদে যুক্ত হলে তা সাশ্রয় হবে। এর ফলে বছরে ৪০০–৫০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।

এটি কার্যকর হতে প্রায় ছয় মাস লাগবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এপোস্টল সনদে যুক্ত হতে এর ১২৬টি সদস্যরাষ্ট্রকে অবহিত করতে হয়। কিছু আনুষ্ঠানিকতা বাকি রয়েছে।