মাতারবাড়ী থেকে জাতীয় গ্রিডে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু

কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র
ছবি : প্রথম আলো

কক্সবাজারের সাগরদ্বীপ মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীতে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মীর আসলাম উদ্দিন।

মীর আসলাম উদ্দিন বলেন, ‘জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সমন্বয়ের পর শনিবার বেলা ১১টা ৫৮ মিনিটে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। ধীরে ধীরে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়ানো হবে।’

এর মধ্য দিয়ে গতকাল শনিবার থেকে মাতারবাড়ীতে নির্মিত কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ৬০০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিটে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হলো। আগামী ডিসেম্বর মাসে প্রথম ইউনিটটি থেকে বাণিজ্যিকভাবে ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করার কথা রয়েছে।

প্রকল্পটির পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বছরের ডিসেম্বরে ইউনিটটির নিয়মিত উৎপাদন কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এর সম্মিলিত উৎপাদন ক্ষমতা ১২০০ মেগাওয়াট। আগামী মার্চ বা এপ্রিলে পুরোদমে উৎপাদনে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে। আগামী বছর জুলাই মাস থেকে এটি পুরোপুরি চালু করার পরিকল্পনা ছিল।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের মাতারবাড়ী সাইট অফিসের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন গতকাল বলেন, ‘প্রথম ৬০০ মেগাওয়াট ইউনিটের পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে আজ। শুরুতে জ্বালানি তেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। এর চার-পাঁচ দিন যাওয়ার পর বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে কয়লা দিয়ে।

বঙ্গোপসাগরের কূল ঘেঁষে মাতারবাড়ীর ১ হাজার ৬০০ একরের পরিত্যক্ত লবণ মাঠে নির্মাণ করা হয়েছে দেশের বৃহৎ ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট ধারণক্ষমতার এই তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে খরচ হচ্ছে প্রায় ৫১ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকা দিচ্ছে প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া অবশিষ্ট অর্থায়ন বাংলাদেশ সরকারের।