নির্বাচনী এলাকায় নতুন করে ত্রাণ প্রকল্প নয়: নির্বাচন কমিশন

নির্বাচন কমিশন
ফাইল ছবি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় নতুন ত্রাণ-অনুদান কার্যক্রম ও নতুন উন্নয়ন প্রকল্প না নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার সরকারের তিনটি মন্ত্রণালয় ও একটি বেসরকারি সংস্থাকে এ নির্দেশনা জানিয়ে চিঠি দিয়েছে ইসি। তবে আগে থেকে চলমান ত্রাণ বা অনুদান কার্যক্রম চালানো যাবে।

নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখতে নির্বাচনের আচরণবিধি অনুযায়ী প্রতিবারই নির্বাচনের সময় এ ধরনের নির্দেশনা দিয়ে থাকে ইসি। আজ স্থানীয় সরকার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়; মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং রেড ক্রিসেট সোসাইটিকে আলাদা আলাদা চিঠি পাঠানো হয়।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় নতুন কোনো প্রকার অনুদান বা ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে না। তবে যেসব ত্রাণ কার্যক্রম আগে থেকে পরিচালিত হচ্ছে, তা চালু থাকবে।

মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচনী এলাকায় নতুন ভিজিডি কার্ড (বর্তমান নাম ভিডব্লিউবি) ইস্যু করাসহ নতুন ধরনের কোনো প্রকার অনুদান বা ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে না। তবে যেসব ত্রাণ কার্যক্রম আগে থেকে পরিচালিত হচ্ছে, সেগুলোর কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিকে পাঠানো চিঠিতেও একই কথা বলা হয়।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে দেওয়া চিঠিতে ইসি বলেছে, কোনো এলাকায় অনুদান বা ত্রাণ বিতরণ–সংক্রান্ত নতুন কার্যক্রম গ্রহণ করা আবশ্যক হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ/জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

স্থানীয় সরকার বিভাগকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী নির্বাচন-পূর্ব সময় (তফসিল ঘোষণার দিন থেকে ফলাফল গেজেটে প্রকাশ পর্যন্ত) কোনো সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সরকারি বা আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে কোনো ধরনের অনুদান ঘোষণা বা বরাদ্দ প্রদান বা অর্থ অবমুক্ত করতে পারবে না। এ বিধান লঙ্ঘন দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখতে এ সময়ে নির্বাচনী এলাকায় কোনো প্রার্থী সিটি করপোরেশন/পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কোনো সম্পত্তি তথা অফিস, যানবাহন, মোবাইল, টেলিফোন, ওয়াকি–টকি বা অন্য কোনো সুযোগ–সুবিধা নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মকর্তা/কর্মচারীকে নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। কোনো সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রাজস্ব বা উন্নয়ন তহবিলভুক্ত কোনো প্রকল্পের অনুমোদন, ঘোষণা বা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কিংবা ফলক উন্মোচন করা যাবে না। অনুদান/ত্রাণ বিতরণ–সংক্রান্ত কার্যক্রম বা উন্নয়নমূলক কোনো প্রকল্প অনুমোদন বা উন্নয়নমূলক কোনো প্রকল্প অনুমোদন না করার কথা চিঠিতে বলা হয়।