সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে ৫০০ মতামত আইন মন্ত্রণালয়ে

প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে পাঁচ শর মতো মতামত এসেছে। এসব মতামত আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে তথ্য ও যোগযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ।

দেশ-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনার মুখে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রোহিত করে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন’ নামে নতুন আইন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ৭ আগস্ট মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ৯ আগস্ট আইনটির খসড়া আইসিটি বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে অংশীজনদের মতামত চাওয়া হয়। এ জন্য তারা ১৪ দিন সময় দিয়েছিল।

আইসিটি বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, ২২ আগস্ট মতামত দেওয়ার শেষ দিন ছিল। সেদিন পর্যন্ত তাদের কাছে প্রায় ৫০০ মতামত এসেছে। এতে একই মতামত ভিন্ন ভিন্ন নামে এসেছে, যার সংখ্যা ১৭৬। বিভাগ থেকে মতামতগুলো আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখানে এগুলো পর্যালোচনা করা হবে।

সময় শেষ হওয়ায় এখন কোনো মতামত নেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছে আইসিটি বিভাগ। তারা বলেছে, এখন কেউ যদি তার মতামত আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে থাকে, সেটি ওই মন্ত্রণালয় বিবেচনা করবে।

প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়েও বিভিন্ন জায়গা থেকে গণমাধ্যমে বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে। বিশেষজ্ঞ এবং বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা বলছে, নতুন আইনটিতেও হয়রানিমূলক বিষয় রয়েছে।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সম্প্রতি সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া পর্যালোচনা করে বলেছে, এখানে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দমনমূলক বিধিগুলো রয়ে গেছে। নতুন এই আইনও সাংবাদিকদের ভয় দেখানো, হয়রানি, নির্বিচার গ্রেপ্তার ও ভিন্নমত দমনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হতে পারে।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনের আটটি ধারা বাতিল ও চারটি ধারা সংশোধনের প্রস্তাবসহ নিজেদের মতামত আইসিটি বিভাগে পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে। তারাও বলেছে, কিছু ধারা সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে অপপ্রয়োগের সুযোগ রয়েছে।