বিজিবির সদস্যদের সর্বোচ্চ পেশাদারির সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ মহাপরিচালকের

কুমিল্লা সেক্টরের ক্ষুদ্রাস্ত্র ফায়ারিং রেঞ্জে অনুষ্ঠিত ফায়ারিং প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল নাজমুল হাসান
ছবি: সংগৃহীত

বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান বাহিনীর প্রত্যেক সদস্যকে ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ হিসেবে সর্বোচ্চ পেশাদারির সঙ্গে কাজ করে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লা সেক্টরের ক্ষুদ্রাস্ত্র ফায়ারিং রেঞ্জে অনুষ্ঠিত ‘বিজিবি ফায়ারিং প্রতিযোগিতা-২০২৩’–এর চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ শেষে মেজর জেনারেল নাজমুল হাসান এ কথা বলেন।

বিজিবির মহাপরিচালক বলেন, ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ একটি ঐতিহ্যবাহী ও চৌকস সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এ বাহিনী দেশের প্রথম সারির প্রতিরক্ষা নিশ্চিতকল্পে সার্বক্ষণিক সীমান্তে নিয়োজিত রয়েছে। সীমান্ত সুরক্ষা এবং যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুকে ধ্বংসের মাধ্যমে বিজয় ছিনিয়ে আনার জন্য বিজিবির প্রত্যেক সৈনিককে অস্ত্র চালানোর দক্ষতা অর্জন করতে হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই দক্ষতা অর্জনের মূলমন্ত্র হচ্ছে, ‘এক বুলেট, এক শত্রু’। তাই বিজিবিতে আয়োজিত সব প্রতিযোগিতার মধ্যে ফায়ারিং প্রতিযোগিতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

বিজিবির সরাইল রিজিয়নের (অঞ্চল) সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং কুমিল্লা সেক্টরের ব্যবস্থাপনায় ১৭ অক্টোবর বিজিবির ফায়ারিং প্রতিযোগিতা শুরু হয়। প্রতিযোগিতায় বিজিবির ৫টি রিজিয়ন ও একটি স্বতন্ত্র সেক্টর থেকে আসা ৬টি দলের ৭২ প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। তিন দিনব্যাপী ফায়ারিং প্রতিযোগিতায় সরাইল রিজিয়ন চ্যাম্পিয়ন এবং কক্সবাজার রিজিয়ন রানার্সআপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

এ ছাড়া ফায়ারিংয়ে ব্যক্তিগত নৈপুণ্য প্রদর্শন করে কক্সবাজার রিজিয়নের বলিপাড়া ব্যাটালিয়নের (৩৮ বিজিবি) সিপাহি মুন্নাফ হাসান প্রথম শ্রেষ্ঠ ফায়ারার এবং সরাইল রিজিয়নের সরাইল ব্যাটালিয়নের (২৫ বিজিবি) ল্যান্স নায়েক স্বাধীন কুমার দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ ফায়ারার নির্বাচিত হয়েছেন।