আত্মসমর্পণের পর নওরোজ পত্রিকার সম্পাদক শামসুল হক কারাগারে
ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে করা মামলায় আত্মসমর্পণের পর দৈনিক নওরোজ পত্রিকার সম্পাদক শামসুল হক দুররানীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমান আজ রোববার এ আদেশ দেন।
আসামিপক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম মিয়া প্রথম আলোকে জানান, ‘গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি থাকায় শামসুল হক দুররানী আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানিতে আমরা বলেছি, ওনার বিরুদ্ধে ৩৮৫ ধারার অভিযোগ আনা হয়েছে। কিন্তু এজাহারে ৩৮৫ ধারার কোনো উপাদান নেই। এটা একটা মিথ্যা মামলা। উনি বয়স্ক ও অসুস্থ। আমরা ওনার জামিন চেয়েছিলাম। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।’
গত ১২ নভেম্বর রাজিবুল ইসলাম নামের এক ঠিকাদার শামসুল হক দুররানীকে আসামি করে আদালতে মামলাটি করেন। আদালত আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলায় অভিযোগে বলা হয়েছে, জামালপুরের মেলান্দহ থানাধীন উপজেলা বীজ অফিসে ১ কোটি ৩৪ লাখ ৮৯ হাজার ৭৩২ টাকার একটি কাজ করছেন রাজিবুল ইসলাম। দীর্ঘদিন ধরে এ কাজের সাইটে অজ্ঞাতনামা কিছু লোক কাজে ব্যাঘাত করার চেষ্টা করছেন। গত ৭ নভেম্বর বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে একটি নম্বর থেকে তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপে কল করেন অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি। তিনি রাত সাতটার দিকে তাঁকে সাভার বাসস্ট্যান্ডে দেখা করতে বলেন। বলেন, জামালপুরে সাইটের কাজে যে ঝামেলা চলছে, তা সমাধান করে দেবেন। রাজিবুল সাভার বাসস্ট্যান্ডে গেলে তাঁদের দেখা হয়। জামালপুরের সাইটের কাজ সঠিকভাবে করতে ২০ লাখ টাকা চান শামসুল হক দুররানী। টাকা না দিলে কাজ করতে পারবেন না বলে হুমকি দেন তিনি। পরে সবার সঙ্গে আলাপ করে মামলা করেন রাজিবুল ইসলাম।