সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে নাশকতার আশঙ্কা নেই: ইসি সচিব

ইসি সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলম
ফাইল ছবি

গাজীপুর, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট—এই পাঁচ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের নাশকতার আশঙ্কা নেই। আজ বৃহস্পতিবার পাঁচ সিটির নির্বাচন নিয়ে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক সভা শেষে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

বিকেলে নির্বাচন ভবনে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), বিজিবি, র‌্যাব, ডিজিএফআই, এনএসআইসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য নির্বাচন কমিশনাররা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ইসির পক্ষ থেকে বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট সবার সার্বিক সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য তারা সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠ থেকে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে, পাঁচ সিটি নির্বাচন নিয়ে বড় ধরনের কোনো নাশকতা বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির কোনো শঙ্কা এখন পর্যন্ত নেই।

জাহাংগীর আলম আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তি যদি নির্বাচনের আইনকানুনের পরিপন্থী কোনো কাজ করেন, সে ক্ষেত্রে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছে ইসি।

গাইবান্ধা উপনির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে ইসি সচিব বলেন, যদি কেউ নির্বাচনের আইনের পরিপন্থী কোনো কাজ করেন, তিনি যে বাহিনীর হোন, যেই ব্যক্তিই হোন, তাঁকে আইনের আওতায় আনার জন্য নির্বাচন কমিশন যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।

বৈঠক শেষে আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন সাংবাদিকদের বলেন, ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন পাঁচ সিটি করপোরেশনের তফসিল ঘোষণা করেছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন করার জন্য ইসি নির্দেশনা দিয়েছে। সহযোগিতা চেয়েছে। তাঁরা ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করার আশ্বাস দিয়েছেন।

গাজীপুরে ভোট নিয়ে কোনো শঙ্কা আছে কি না, এমন প্রশ্নে আইজিপি বলেন, যেকোনো রকম আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যদি উদ্ভব হয়, সেটা বিবেচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিটি ক্ষেত্রে জঙ্গিসহ সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, কমিশনের পরিপত্রের আলোকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য যা যা দরকার, সেই ব্যবস্থা তাঁরা নেবেন। এ ক্ষেত্রে রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে তাঁদের স্থানীয় ইউনিট সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে কাজ করছে।

আইজিপি বলেন, ইসির সঙ্গে বৈঠকে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা ছিলেন। সিটি নির্বাচনে সেই ধরনের কোনো চ্যালেঞ্জের কথা তাঁরা বলেননি। একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে তাঁরা আশা করছেন।

স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে পুলিশকে পক্ষে নেওয়ার জন্য প্রার্থীরাই চেষ্টা করে থাকেন—প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের এমন বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আইজিপি বলেন, ‘আমি তা মনে করি না। আইন অনুযায়ী আমরা আমাদের দায়িত্ব অনুযায়ী কমিশনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করছি। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে দায়িত্ব পালন করা দরকার, বাংলাদেশের প্রত্যেক সদস্য সে দায়িত্ব পালন করে।’