এক দিনে ৫২৪ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে

হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীফাইল ছবি প্রথম আলো

দেশে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫২৪ জন ডেঙ্গু রোগী রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হলো ৫৫।

গণমাধ্যমে পাঠানো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সর্বশেষ ডেঙ্গু পরিস্থিতির তথ্যে বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে আজ বুধবার সকাল আটটা পর্যন্ত সারা দেশে ৫২৪ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ৩৭৩ জন ভর্তি হয়েছেন রাজধানীর ৪৭টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে। বাকি ১৫১ জন ভর্তি হয়েছেন দেশের বিভিন্ন সরকারি জেলা ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

ঢাকার বাইরে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের জেলা কক্সবাজারে। এ জেলায় এ পর্যন্ত ১১৫২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৬১ জন, সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ১ হাজার ৭৩ জন আর মারা গেছেন ১৮ জন।

ডেঙ্গুর জীবাণু মানুষের শরীরে আসে এডিস মশার মাধ্যমে। বর্ষায় বাসাবাড়িতে পানি জমে এই মশার বংশবিস্তার বেশি ঘটে। ২০০০ সালে বাংলাদেশে প্রথম ডেঙ্গুর বড় ধরনের প্রকোপ দেখা দেয়। মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে পরের বছরগুলোতে এর প্রকোপ খুব বেশি না হলেও ২০১৯ সালে তা ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়ে। ওই বছর দেশে ডেঙ্গুতে দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু এবং লক্ষাধিক মানুষ এতে আক্রান্ত হয়।

প্রতিবছরের মতো এ বছর বর্ষা মৌসুম শুরুর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখা রাজধানীতে মশা জরিপ করেছিল। জরিপের ফলাফলে বলা হয়েছিল, গত বছরের চেয়ে এ বছর একই সময়ে রাজধানীতে এডিস মশার লার্ভা বেশি দেখা গেছে। এরপর কীটতত্ত্ববিদ ও জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলেছিলেন, এ বছর বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি হওয়ার ঝুঁকি আছে। তাঁরা এ-ও বলেছিলেন যে বৃষ্টি যদি থেমে থেমে হয় অর্থাৎ এক দিন বৃষ্টির পর কয়েক দিন হলো না, আবার এক দিন হলো, তাহলে মশা বাড়বে।