গ্রাহকের ২৯ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় জিপিওর তিন কর্মচারী কারাগারে

দুদকের আইনজীবী কাজী ছানোয়ার আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, তিন আসামি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। দুদকের পক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ছানোয়ার আহমেদ আরও বলেন, আদালত দুদকের অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করে বিচারের জন্য বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

কারাগারে পাঠানো এই তিন আসামিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে গত ৭ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। এতে বলা হয়, ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত গ্রাহকদের অর্থ সঠিক হিসাবের পরিবর্তে ভুয়া হিসাবে জমার পর উত্তোলন করেন তাঁরা। যোগসাজশের মাধ্যমে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ৯টি সঞ্চয়ী ও একটি মেয়াদি হিসাবের বিপরীতে মোট ২৯ কোটি ৩ লাখ ৯২ হাজার ৩০০ টাকা আত্মসাৎ করেন।

২০২০ সালের ২৬ আগস্ট জিপিওর ঊর্ধ্বতন পোস্ট মাস্টার মো. নিজাম উদ্দিন সঞ্চয় শাখা পরিদর্শন করেন। রায়ফা হোসেন, লাকী আক্তার ও সাকি আক্তার নামের তিন আমানতকারীর হিসাবের লেনদেনের ৪৫ লাখ টাকা জমা দেখালেও ওই টাকা সরকারি খাতে না দিয়ে উত্তোলনের প্রমাণ পান। এর মধ্যে রায়ফার ১৬ লাখ, লাকীর ১৪ ও সাকির ১৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। এ ঘটনায় ওই বছরের ২১ অক্টোবর মামলা করে দুদক। পরে তদন্তে মোট ২৯ কোটি টাকা আত্মসাতের তথ্য পায় দুদক।