শিল্প মানুষের হৃদয়কে জাগ্রত করে: মার্কিন চিত্রশিল্পী ভাষা চক্রবর্তী
শিল্প মানুষের হৃদয়কে জাগ্রত করে। একজন শিল্পীর অন্যতম কাজ তাঁর গল্প ঠিকভাবে তুলে ধরা। চারপাশ থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতার আলোকেই নিজের গল্পগুলো সাজাতে হবে। সে গল্প বলতে হবে আপন ঢঙে।
আজ বুধবার চট্টগ্রাম নগরের প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির একদল শিক্ষার্থীর সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে এসব কথা বললেন আমেরিকান চিত্রশিল্পী ভাষা চক্রবর্তী।
ভাষা চক্রবর্তী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল স্কুল অব আর্টে পড়াশোনা করছেন। বিভিন্ন দেশে তিনি তাঁর শিল্পকর্ম প্রদর্শনের জন্য গেছেন। এ বছর প্রথমবারের মতো তিনি ‘ঢাকা আর্ট সামিটে’ অংশ নিয়েছেন। তবে ২০১৫ সালের দিকে একবার বাংলাদেশে এসেছিলেন। তখন তিনি তাঁর বাবার সঙ্গে দাদার বাড়ি কুমিল্লায় বেড়াতে যান। আর আজ প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন বিভাগের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বললেন।
আমেরিকান চিত্রশিল্পী ভাষা চক্রবর্তীকে নিয়ে এই আলোচনার আয়োজন করে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস। আলোচনায় অংশ নেন শিক্ষকেরাও। উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত তথ্য মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার, প্রেস চিফ রিকি সালমিনা ও পাবলিক অ্যানগেজমেন্ট কো-অর্ডিনেটর ফারোহা সোহরাওয়ার্দী।
ভাষা চক্রবর্তী বলেন, নিজের শিল্পকর্ম নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকা উচিত নয়। কাজ দেখে অন্যরা কে কী বলেছেন, তা নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তা করা যাবে না। কিন্তু এমন মানুষকে কাজ দেখানো যেতে পারে, যিনি কাজের ইতিবাচক সমালোচনা করবেন। কাজকে আরও সমৃদ্ধ করবেন। আর শিল্পচর্চার ‘জার্নিতে’ কখনো কখনো প্রতিবন্ধকতা আসতে পারে। তাই থেমে যাওয়া চলবে না।
ভাষা চক্রবর্তী জানান, বাংলাদেশের তাঁতিদের কাজ তাঁকে দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করে। বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের কাজও তাঁকে অনুপ্রেরণা জোগায়। এ ছাড়া তাঁর কাজের উপকরণের মধ্যে থাকে শাড়ি, তাঁত, বৃক্ষ।
ভাষা চক্রবর্তী পরে প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক। তাঁর দাদার বাড়ি কুমিল্লায়। মা–বাবার জন্ম ভারতের কলকাতায়। পরে তাঁরা যান যুক্তরাষ্ট্রে। আর তিনি বড় হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপে। ফলে তিনি সমুদ্রের আশপাশে বসবাস করা মানুষের জীবনের নানা দিক নিয়ে কাজ করতে চান।