ফেনীতে মাসুদ উদ্দিন, নিজাম হাজারীসহ ৩৫৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী ও নিজাম উদ্দিন হাজারীফাইল ছবি

ফেনী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীসহ ৩৫৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নিহত জাফর আহম্মদের স্ত্রী আছিয়া বেগম বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় এই মামলা করেন। ফেনীতে এই মামলাসহ মোট আটটি হত্যা মামলা হয়েছে।

নিহত জাফর সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামের বাসিন্দা ও পেশায় একজন টমটমচালক ছিলেন। ফেনীর মহিপালে গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিতে নিহত হন তিনি।

ফেনী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. এমরান হোসেন বলেন, মামলায় ২০৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন ফেনী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রহিম উল্ল্যাহ, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খায়রুল বাশার মজুমদার, ফেনী সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল, ফেনী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, জেলা যুবলীগের সভাপতি ও দাগনভূঞা উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির, ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী , ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন মজুমদার, পরশুরাম পৌরসভার সাবেক মেয়র নিজাম উদ্দিন চৌধুরী, জেলা যুবলীগের সহসভাপতি ও শর্শদি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জানে আলম ভূঁইয়া প্রমুখ।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলন কর্মসূচিতে টমটমচালক জাফর আহাম্মদ স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণ করেন। আন্দোলনে তাঁর অংশগ্রহণের বেশ কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন অনলাইনে প্রকাশ হয়। ওই দিন শর্শদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানে আলম ভূঁইয়াসহ আরও ১০ থেকে ১১ জন আসামি জাফরের বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্ত্রী আছিয়াকে হুমকি দেন। ভয়ে আছিয়া তাঁর স্বামীকে বাসায় আসতে নিষেধ করেন। জাফরও তাঁর স্ত্রীর কথামতো সেদিন আর বাসায় যাননি। পরদিন ৪ আগস্ট দুপুরে আসামিরা তাঁর স্বামী জাফরকে ফেনী শহরের পুরোনো জেল রোডের জেলা কারাগারের সামনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে, পিটিয়ে হত্যা করে চলে যায়।