একজন বাবা এবং বিমানবন্দরে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা

কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধের ফাইল ছবি।ছবি: প্রথম আলো

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত সোমবার একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন কয়েক শ যাত্রী ও অন্যরা। তখন বেলা প্রায় তিনটা। দুবাই থেকে আমিরাত এয়ারলাইনস উড়োজাহাজটি নেমেছে কিছুক্ষণ আগে। যাত্রীরা ইমিগ্রেশনের জন্য লাইনে দাঁড়াচ্ছিলেন। আর সেখানে ঠিক তখনই এক অসহায় বাবা চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করেন।

মুহূর্তে মানুষজন জড়ো হন। তিনি তখনো কাঁদতে কাঁদতে বলতে থাকেন, ‘ওরা আমার একমাত্র ছেলেটাকে কেন মারল?’ তিনি আরও বলছিলেন, কষ্ট করে বিদেশে থেকে আয় করেন। সেই অর্থ দিয়ে ছেলেকে পড়াশোনা করাচ্ছিলেন। অনেক আশা নিয়ে ছেলে লেখাপড়া করছিল। সেই ছেলেকে গুলি করে মেরে ফেলেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তিনি বারবারই একটা কথাই বলছিলেন, ‘ওরা আমার একমাত্র ছেলেটাকে কেন মারল?’ একটা পর্যায়ে তিনি চিৎকার করে আল্লাহর কাছে পুত্র হত্যার বিচার চাইতে থাকেন। বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের তাঁকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দিতে দেখা যায়। একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী প্রথম আলোকে জানান, এই ব্যক্তি ওমানের রাজধানী মাসকাট থেকে এসেছেন। তিনি ১০ বছর ধরে সেখানে কর্মরত আছেন।

কোটাপ্রথা নিয়ে আন্দোলনের সহিংস ঘটনায় ওই ব্যক্তির একমাত্র পুত্র নিহত হয়েছেন। এই খবর পেয়েই তিনি দেশে ফিরেছেন বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৯৭ জন নিহত হয়েছেন বলে প্রথম আলো নিশ্চিত হয়েছে।