কৃষিজমির মাটি কাটার ঘটনায় বিচারিক অনুসন্ধানের নির্দেশ

হাইকোর্ট ভবনফাইল ছবি

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি (টপ সয়েল) কাটার ঘটনায় দায়ীদের খুঁজে বের করতে বিচারিক অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অনুসন্ধান শেষে এক মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এক রিটের ধারাবাহিকতায় বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। আদালত বলেছেন, বিচারিক অনুসন্ধানে ঢাকা–কক্সবাজার রেললাইন থেকে কত দূরে সাতকানিয়ায় মাটি কাটা হচ্ছে এবং এতে করে রেললাইন হুমকির মুখে পড়ে কি না, তা–ও দেখতে হবে।

হাইকোর্ট সাতকানিয়ার যেসব কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি কাটা হয়েছে, বাইরে থেকে পলিমাটি এনে ভরাট করে তা কৃষি উপযোগী করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

‘ইটভাটা মালিকদের জোরপূর্বক মাটি উত্তোলন: হুমকিতে কক্সবাজার রেললাইন ও গ্রামীণ অবকাঠামো’ শিরোনামে গণমাধ্যমে গত মাসে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে আবদুল মুনাফ নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা গত মাসে একটি রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৯ মার্চ হাইকোর্ট রুল দিয়ে একটি ইটভাটার মাটি কাটার কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা দেন। তা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট কৃষিজমির টপ সয়েল কাটা অব্যাহত থাকার বিষয়টি গতকাল সোমবার আদালতের নজরে আনেন রিট আবেদনকারীর আইনজীবী। শুনানি নিয়ে আদালত অবস্থান ব্যাখ্যা করতে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার এবং সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আজ দুপুরে ভার্চ্যুয়ালি আদালতে যুক্ত হতে আদেশ দেন।

এ অনুসারে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ চার কর্মকর্তা ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী উজ্জ্বল পাল। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়, সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আযাদ।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় প্রথম আলোকে বলেন, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার তাঁদের কার্যক্রম তুলে ধরেন। কৃষিজমিতে বেআইনিভাবে মাটি কাটা বন্ধ করবেন বলেও উল্লেখ করেন তাঁরা। শুনানি নিয়ে আদালত সাতকানিয়ায় মাটি (টপ সয়েল) কাটার ঘটনায় দায়ীদের খুঁজে বের করতে বিচারিক অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন। মাটি কাটার ফলে ঢাকা–কক্সবাজার রেললাইন হুমকির সম্মুখীন কি না, তা–ও অনুসন্ধান করতে বলা হয়েছে।