চট্টগ্রামে বাসাবাড়িতে গ্যাস সরবরাহ শুরু, তবে চাপ কম
চট্টগ্রামের বাসাবাড়িতে গ্যাস সরবরাহ শুরু করেছে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল), তবে চাপ একেবারে কম। আজ সোমবার সকাল আটটার দিকে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয় বলে জানিয়েছে কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষ। আর বাসাবাড়িতে গ্যাস পৌঁছেছে দুপুরের দিকে।
কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (বিপণন-দক্ষিণ) আমিনুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মহেশখালী ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে আজ ১৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে বাসাবাড়িতে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। রাত ১১টার পর ফিলিং স্টেশনে গ্যাস পাওয়া যাবে। আর শিল্পকারখানায় সরবরাহ শুরু হতে পারে আগামীকাল মঙ্গলবার।
ইতিমধ্যে বাসাবাড়িতে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। রাত ১১টার পর ফিলিং স্টেশনে গ্যাস পাওয়া যাবে। আর শিল্পকারখানায় সরবরাহ শুরু হতে পারে আগামীকাল মঙ্গলবার।
বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাসাবাড়িতে গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে। কোথাও চাপ একেবারে কম, আবার কোথাও চাপ তুলনামূলক কিছুটা পাওয়া যাচ্ছে। নগরের মোমেনবাগ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ রেজওয়ান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে জানান, তাঁদের বাসায় গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু চাপ কম। হালিশহরের বাসিন্দা স্কুলশিক্ষক শাম্মী আক্তার জানান, দুপুরের দিকে তাঁদের বাসায় গ্যাস এসেছে।
চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহের দায়িত্বে আছে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল)। কেজিডিসিএলের মোট গ্রাহক-সংযোগ ৬ লাখ ১ হাজার ৯১৪টি। এর মধ্যে গৃহস্থালি সংযোগ ৫ লাখ ৯৭ হাজার ৫৬১টি, বাকিগুলো শিল্প–বাণিজ্যসহ অন্য খাতে। এসব খাতে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৩২৫ মিলিয়ন ঘনফুট। কিন্তু স্বাভাবিক সময়ে মহেশখালী এলএনজি টার্মিনাল থেকে পাওয়া যায় ২৭০ থেকে ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট।
ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে গত শুক্রবার রাত ১১টায় আগাম সতর্কতায় তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে। মহেশখালীতে থাকা ভাসমান দুটি টার্মিনাল গভীর সমুদ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়। দুটি টার্মিনালের মাধ্যমে আমদানি করে আনা এলএনজি রূপান্তর করে পাইপলাইনে সরবরাহ করা হয়। অবশ্য আজ একটি টার্মিনাল চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেজিডিসিএলের কর্মকর্তারা।