রূপায়ণ রেড ক্রিসেন্ট টাওয়ার

মতিঝিলের রূপায়ণ রেড ক্রিসেন্ট টাওয়ার
ছবি: সংগৃহীত

মতিঝিলের মেট্রোস্টেশনের দক্ষিণ পাশের দৃষ্টিনন্দন চাঁদ আকৃতির এক ভবন। নান্দনিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি একটি পরিবেশবান্ধব ভবন হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে ভবনটি। ভবনটিতে রয়েছে করপোরেট অফিস, শোরুমসহ নানা প্রতিষ্ঠান। মতিঝিলের কেন্দ্রবিন্দুতে আধুনিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত হওয়া এই বাণিজ্যিক ভবনটি—রূপায়ণ রেড ক্রিসেন্ট টাওয়ার। এটি একটি দৃষ্টিনন্দন কাঠামোগত উৎকর্ষের প্রতীক। আধুনিক ইউরোপীয় স্থাপত্যধর্মী এই টাওয়ার উন্নত মানের গ্লাস ফ্যাসেড, উচ্চতর নিরাপত্তাব্যবস্থা ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিতে নির্মাণ করা হয়েছে।

ভবনটির সবচেয়ে ভালো দিক পর্যাপ্ত খোলা জায়গা, যেখানে আলো–বাতাস চলাচল করছে। স্থাপত্য নকশা ও আধুনিক স্থাপনার পাশাপাশি সবুজায়ন ভবনের পরিবেশগত সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

ভবনটির নকশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মেট্রোপলিটন আর্কিটেক্টসের আর্কিটেক্ট পার্টনার স্থপতি রাদিয়া সুলতানা। তিনি বলেন, ‘একটি বাণিজ্যিক দালান থাকলেও আমরা চেয়েছি কমিউনিটিকে যুক্ত করতে। এ জন্য তিনটি সড়কের মাঝখানে চাঁদ আকৃতির ভবনটি যাতে সব সময় সক্রিয় থাকে, সেই চিন্তাও আমরা করেছি। এখানে করপোরেট অফিস থাকলেও আবাসন প্রতিষ্ঠান ও রেড ক্রিসেন্টকে আমরা পরামর্শ দিয়েছি কিছু বইয়ের দোকান ও শোরুম রাখতে। এখনে নিচতলায় কিছু শোরুম, ব্যাংক হয়েছে।’

রাদিয়া সুলতানা আরও বলেন, ‘আমরা শুধু কাচের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকিনি। এখানে সবুজ ও খোলা জায়গা রাখা হয়েছে। মেট্রোস্টেশনে নামার আগেই মানুষ ব্যতিক্রমী একটা দালান দেখতে পাবে। কেউ দেখলে যাতে মনে থাকে।’

বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিলের কেন্দ্রস্থলে ভবনটির অবস্থান হওয়ার কারণে মানুষের কাছে এর আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক, ইনস্যুরেন্স কোম্পানি, করপোরেট হাউস এবং সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর—প্রতিটি উপাদানই ব্যবসা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ভবনের চারপাশে করপোরেট প্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক ব্যাংক, ফাইন্যান্স কোম্পানি ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় রয়েছে।

‘রূপায়ণ রেড ক্রিসেন্ট টাওয়ার’ ভবনটির তিন দিকে সড়ক, সামনে উত্তরে ১১৫ ফুট এবং দক্ষিণ ও পশ্চিম দিকে ৩০ ফুট প্রশস্ত রাস্তাসংলগ্ন এলাকায় মনোরম পরিবেশে ১৫ কাঠা জমির ওপর নির্মাণ করা হয়েছে। দুটি বেজমেন্ট, একটি লোয়ার গ্রাউন্ড, গ্রাউন্ড ফ্লোর এবং ১৪ তলাবিশিষ্ট একটি সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক ভবন। ভবনের স্ট্রাকচারাল ডিজাইনার অধ্যাপক এম শামীম জেড বসুনিয়ার ডিজাইন অনুযায়ী রূপায়ণ হাউজিং এস্টেট লিমিটেডের দক্ষ প্রকৌশলীদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে প্রকল্পটি দৃষ্টিনন্দন আধুনিক বাণিজ্যিক ভবনে পরিণত হয়েছে। কথাগুলো বলেছিলেন রূপায়ণ হাউজিং এস্টেট লিমিটেডের সিইও মিজানুর রহমান দেওয়ান।