নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগকারী বা ভুক্তভোগীর পক্ষে ব্যক্তিগতভাবে আইনজীবী নিয়োগ করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পক্ষরা বিভিন্ন বাধার মুখে পড়ছে। এ অবস্থায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগকারী বা ভুক্তভোগী ফৌজদারি কার্যবিধির বিধান অনুসরণ করে ব্যক্তিগতভাবে আইনজীবী নিযুক্ত করে মামলা পরিচালনা করতে পারবেন।
‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগকারী/ ভিকটিমের পক্ষে ব্যক্তিগতভাবে আইনজীবী নিয়োগকরণ প্রসঙ্গে’ হাইকোর্ট বিভাগের বিচার শাখা থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার (বিচার) এসকে এম তোফায়েল হাসানের সই করা এই বিজ্ঞপ্তি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে গত বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা হয়।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগকারী/ ভিকটিমের পক্ষে ব্যক্তিগতভাবে আইনজীবী নিয়োগ করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পক্ষরা বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২৫ ধারায় বর্ণিত বিধানাবলি অনুসারে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে কোনো অপরাধের অভিযোগ দায়ের, তদন্ত, বিচার ও নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির বিধানাবলি প্রযোজ্য হয়। ট্রাইব্যুনালে অভিযোগকারীর পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী ব্যক্তি পাবলিক প্রসিকিউটর বলে গণ্য হন। ওই কার্যবিধির ৪৯৩ এবং ৪৯৫ ধারার বর্ণিত বিধানাবলি অনুসরণ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগকারী/ ভিকটিমের পক্ষে ব্যক্তিগতভাবে আইনজীবী নিযুক্ত করে মামলা পরিচালনা করার সুযোগ আছে। সংশ্লিষ্ট সবার জন্য বিষয়টি স্পষ্ট হওয়া আবশ্যক।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ অবস্থায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগকারী/ ভিকটিম ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৩ এবং ৪৯৫ ধারায় বর্ণিত বিধানাবলি অনুসরণ করে তাঁর/ তাঁদের পক্ষে ব্যক্তিগতভাবে আইনজীবী নিযুক্ত করে মামলা পরিচালনা করতে পারবেন—এই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি স্পষ্টীকরণ করা হলো।