যমুনার উদ্দেশে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লংমার্চ, দাবি তিনটি

আবাসন ভাতা, প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট অনুমোদনসহ তিন দফা দাবিতে যমুনার উদ্দেশে লংমার্চ নিয়ে বের হচ্ছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাছবি: শাহাদাত হোসেন

আবাসন ভাতা, প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট অনুমোদনসহ তিন দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাত্তরের গণহত্যা ভাস্কর্য চত্বরের সামনে থেকে দুপুর পৌনে ১২টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার উদ্দেশে লংমার্চ শুরু করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘জুলাই ঐক্য’ সংগঠনের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়। এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধিদল ইউজিসিতে যায়। কিন্তু ইউজিসি থেকে আশানুরূপ কোনো ঘোষণা না আসায় ‘লংমার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

তিন দফা দাবি হলো—

১. আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে।

২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করতে হবে।

৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।
লংমার্চে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল, ছাত্র অধিকার পরিষদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্রশিবির, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা অংশগ্রহণ করেন। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা লংমার্চে অংশগ্রহণ করেন।

দুপুর পৌনে ১২টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার উদ্দেশে লংমার্চ শুরু করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
ছবি: শাহাদাত হোসেন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ও অস্থায়ী হল নির্মাণকে একনেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অনুমোদন দিতে হবে।  বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত বাজেট ও অস্থায়ী হল নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন ভাতা চালু রাখতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলমান থাকবে।’