নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ বিভাগে ছাত্রলীগের কমিটি

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়

বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচটি বিভাগে কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। গতকাল শুক্রবার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা এসব কমিটি ঘোষণা করেন।

গতকাল নর্থ সাউথের ব্যবসায় প্রশাসন (বিবিএ) বিভাগে ১৮ সদস্যের, আইন বিভাগে ১২ সদস্যের, সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং (সিইই) বিভাগে ১০ সদস্যের, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) বিভাগে ৯ সদস্যের এবং ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্স বিভাগে ৪ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করেছে ছাত্রলীগ। আগামী এক মাসের মধ্যে বিভাগগুলোকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে বলা হয়েছে।

২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নর্থ সাউথসহ ১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংগঠনিক কমিটি ঘোষণা করে সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার পর সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যানদের একটি চিঠি দিয়েছিল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি (এপিইউবি)।

এতে বলা হয়েছিল, ট্রাস্টের অধীন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মূলত সেশনজটমুক্ত অলাভজনক ও অরাজনৈতিক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের পলিসি (নীতি), শৃঙ্খলা ও নিয়মকানুন অনুযায়ী পরিচালিত হয়ে আসছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দলীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চলবে কি না, তা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম দিয়ে নির্ধারিত। অর্থাৎ কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি করা যাবে কি না, তা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মে নির্ধারিত হবে। এপিইউবি মনে করে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের নীতি, শৃঙ্খলা ও নিয়মকানুন অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার উপযুক্ত পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেবে।

ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান তখন বলেছিলেন, শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্য প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতি থাকা উচিত।

ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার দুই মাসের মাথায় ওই বছরের নভেম্বরে নর্থ সাউথসহ ৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিটি ঘোষণা করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। এপিইউবির চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন তখন প্রথম আলোকে বলেছিলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতির সুযোগ নেই। ছাত্রলীগের কমিটির ক্ষেত্রে আমরা যে অবস্থান নিয়েছিলাম, ছাত্রদলের ক্ষেত্রেও আমাদের অবস্থান একই।

তবে ছাত্রদলের তৎকালীন কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (বর্তমান সভাপতি) রাকিবুল ইসলাম বলেছিলেন, ছাত্রলীগের অপরাজনীতির কারণে ক্যাম্পাসগুলোয় ছাত্ররাজনীতির প্রতি একধরনের ভয়, ক্ষোভ ও ঘৃণা তৈরি হয়েছে। এর দায় ছাত্রদলের নয়।