ঈদযাত্রা: অভ্যন্তরীণ রুটে এখন উড়োজাহাজের টিকিটের দাম দুই থেকে তিন গুণ বেশি

উড়োজাহাজপ্রতীকী ছবি

সড়ক, রেল ও নৌপথে নানা বিড়ম্বনা এড়িয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণের জন্য আকাশপথকে বেছে নেন ঈদে ঘরমুখী অনেক মানুষ। এবারের পবিত্র ঈদুল ফিতরের উৎসব ঘিরে উড়োজাহাজের প্রায় ৭০ শতাংশ টিকিট এরই মধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে এয়ারলাইনসগুলো। তবে যেসব টিকিট এখনো অবিক্রীত, সেগুলোর নাগাল পেতে ক্রেতাদের দাম দিতে হচ্ছে দুই থেকে তিন গুণ বেশি।

দেশের বিমান সংস্থাগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পবিত্র রমজানের ২৫ তারিখের পর থেকে টিকিটের চাহিদা বেশি। ইতিমধ্যে অধিকাংশ টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। বাকি টিকিটগুলো পেতে সাধারণ সময়ের চেয়ে বেশি দাম দিতে হবে। চাহিদা বেশি থাকায় সৈয়দপুর ও রাজশাহীর টিকিটের দাম তুলনামূলক বেশি।

অনলাইনে উড়োজাহাজের টিকিট কাটার জনপ্রিয় একটি ওয়েবসাইটে ঢুকে দেখা যায়, আগামী ৯ এপ্রিল ঢাকা-সৈয়দপুর পথে টিকিটের সর্বনিম্ন দাম সাড়ে ৮ হাজার টাকা। এয়ার অ্যাস্ট্রা, নভোএয়ার, বিমান বাংলাদেশ ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের টিকিটের দাম সাড়ে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে। সাধারণ সময়ে এই গন্তব্যে টিকিটের দাম তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকার মধ্যে থাকে।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ২৫ রমজানের পরের ৭০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। বিভিন্ন দামের টিকিট থাকে। যাঁরা আগে টিকিট কেটেছেন, তাঁরা কম দামের টিকিট নিয়েছেন। এখন টিকিট কাটলে দাম বেশি পড়বে। আর ঈদের সময় ঢাকা থেকে যাত্রী পূর্ণ করে ছাড়লেও ফ্লাইটগুলো ফিরবে একেবারে ফাঁকা হয়ে। ভাড়া নির্ধারণের ক্ষেত্রে তাই ফিরতি ফ্লাইটের হিসাবটাও থাকে।

এ বিষয়ে নভোএয়ারের একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, সৈয়দপুর ও রাজশাহীর মতো রুটে টিকিটের চাহিদা বেশি। এবার অন্যান্য বছরের চেয়ে ছুটিও লম্বা। ঈদের চার-পাঁচ দিন আগে ও পরের টিকিটের প্রায় ৭০ শতাংশ বিক্রি হয়ে গেছে। বাকি যেসব টিকিট এখনো অবিক্রীত রয়েছে, সেগুলো পেতে দাম দিতে হবে দুই থেকে তিন গুণ বেশি।