চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আইনের ‘নদী ভরাটের ক্ষমতা’ সংক্রান্ত উপধারার অংশবিশেষ প্রশ্নে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ রুল দেন।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আইন ২০২২ সালে প্রণয়ন করা হয়। আইনের ১০ ধারায় কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা ও দায়িত্ব সম্পর্কে বলা আছে। ১০(২)(চ) উপধারা অনুসারে, জলমগ্ন অবস্থা হতে নদীর তীর, চর বা তলদেশ উদ্ধার, ভরাট, খনন, ঘেরাও বা বেড়া নির্মাণের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে কর্তৃপক্ষ।
ওই উপধারায় উল্লিখিত ‘নদী ভরাটের ক্ষমতা’ সংক্রান্ত অংশবিশেষের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে তিন আইনজীবী গত সপ্তাহে রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান।
পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ প্রথম আলোকে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আইনে উল্লিখিত ‘নদী ভরাট করার ক্ষমতা’ সংক্রান্ত অংশবিশেষ কেন বাতিল ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদসচিব, আইনসচিবসহ ছয় বিবাদীকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, সংবিধান, জলাধার সংরক্ষণ আইন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, নদী সংরক্ষণবিষয়ক সুপ্রিম কোর্টের রায় ও কর্ণফুলী নদী সংরক্ষণ মামলার রায় অনুসারে নদীর জায়গা ভরাট করার ক্ষেত্রে আইনগত বিধিনিষেধ আছে। তবে এই রায় অবজ্ঞা করে কর্ণফুলী নদী ভরাট করার উদ্দেশে ২০২২ সালে আইন করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে নদী ভরাট করার ওই ক্ষমতা দেওয়া হয়। এ ধরনের ক্ষমতা থাকলে কর্ণফুলী নদী রক্ষা করা যাবে না এবং রায় অকার্যকর হয়ে যাবে—যে কারণে রিটটি করা হয়।