লিভ টু আপিল খারিজ, পিরোজপুরের দুটি আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ বৈধ
পিরোজপুর-১ ও ২ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রজ্ঞাপনের বৈধতা নিয়ে করা রিট খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। ফলে পুনর্নির্ধারিত সীমানা অনুযায়ী আসন দুটিতে আগামী নির্বাচন হবে বলছেন নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা পৃথক দুটি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) খারিজ করে দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ আজ সোমবার এ আদেশ দেন।
আসন দুটির সীমানা পুনর্নির্ধারণ–সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের ১ জুনের প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা হাইকোর্টে পৃথক রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৩০ জুলাই হাইকোর্ট রুল দেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে রিট খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে গত ৩ সেপ্টেম্বর রায় দেন হাইকোর্ট। ফলে আসন দুটির সীমানা পুনর্নির্ধারণ-সংক্রান্ত ইসির সিদ্ধান্ত বৈধ ও বহাল থাকে। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রিট আবেদনকারীরা পৃথক লিভ টু আপিল করেন, যা আজ শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতে লিভ টু আপিলকারীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এম কে রহমান, মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান খান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ ও কামাল হোসেন মিয়াজী।
পরে আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ প্রথম আলোকে বলেন, লিভ টু আপিল খারিজ হওয়ায় হাইকোর্টের রায় বহাল রইল। অর্থাৎ আসন দুটির সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশনের প্রজ্ঞাপন বৈধ ও বহাল থাকছে। ফলে নতুন করে পুনর্নির্ধারিত সীমানা অনুযায়ী আসন দুটিতে আগামী নির্বাচন হবে।
পিরোজপুর-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। আর পিরোজপুর-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য হলেন জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।
পিরোজপুর-১ আসনটি আগে পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর ও নেছারাবাদ উপজেলা নিয়ে গঠিত ছিল। এখন নেছারাবাদ উপজেলা বাদ দিয়ে এ আসনে ইন্দুরকানী উপজেলা যুক্ত করা হয়েছে। ইন্দুরকানী উপজেলা আগে পিরোজপুর-২ আসনে যুক্ত ছিল। এটি বাদ দিয়ে নেছারাবাদ উপজেলাকে আসনটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।