সংখ্যালঘু স্বার্থবিরোধী প্রার্থীদের ভোট না দেওয়ার আহ্বান

ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের স্বার্থবিরোধী প্রার্থীদের ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। একই সঙ্গে যেসব প্রার্থী ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের সম-অধিকার, সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠার পক্ষের বলে বিবেচিত হবেন, তাঁদের সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঐক্য পরিষদ।

শনিবার সকালে ঢাকার একটি মিলনায়তনে ঐক্য পরিষদের বর্ধিত সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্তের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিষদের অন্যতম সভাপতি ঊষাতন তালুকদার।

বিজ্ঞপ্তিতে ঐক্য পরিষদ জানিয়েছে, অতীতে যেসব রাজনৈতিক ব্যক্তি সাম্প্রদায়িক ও ধর্মান্ধের ভূমিকা পালন করেছেন এবং ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের জায়গাজমি জবরদখল, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান-বাড়িঘর-ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও নির্যাতনসহ সংখ্যালঘু স্বার্থবিরোধী কাজে লিপ্ত এমন প্রার্থীদের ভোট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে সভায়।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের পাশাপাশি একটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের মধ্যে ইতিমধ্যে সংঘাতের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করে পরিষদ। একই সঙ্গে পরিষদ বলেছে, অতীতের নির্বাচনের পূর্বাপর অভিজ্ঞতার আলোকে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের শঙ্কা ও উদ্বেগ বিরাজ করছে। নির্বাচনের পূর্বাপর অন্তত তিন সপ্তাহ সারা দেশে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন রাখা এবং নির্বাচনে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা রোধে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি জিরো-টলারেন্স (শূন্য সহিষ্ণুতা) দেখানোর কথাও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে পরিষদ।

সভায় গৃহীত এক প্রস্তাবে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও চলমান নির্বাচনী প্রচারণায় ধর্ম ও সাম্প্রদায়িকতা এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ব্যবহৃত হচ্ছে। এ ব্যাপারে অনতিবিলম্বে নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপ চেয়েছে পরিষদ।

সভায় ঐক্য পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজল দেবনাথকে আহ্বায়ক ও রঞ্জন কর্মকারকে সদস্যসচিব করে ১১ সদস্যের একটি নির্বাচনী মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। পরিষদের এই কমিটি নির্বাচনপূর্ব, নির্বাচনকালীন ও নির্বাচন-পরবর্তী সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতা, নির্যাতন ও বিভিন্ন ধরনের সংঘাতের তাৎক্ষণিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করবে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ ও প্রতিবেদন তৈরি করবে তারা।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, প্রতিটি জেলায় পাঁচ সদস্যের এ ধরনের একটি করে মনিটরিং সেল থাকবে ঐক্য পরিষদের।