জাতীয় সংসদ এলাকার ভেতরে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের ভবন নির্মাণ বৈধ
জাতীয় সংসদ এলাকার ভেতরে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের ভবন নির্মাণ অবৈধ ঘোষণা করে ১৮ বছর আগে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল ঘোষণা করেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল মঞ্জুর করে আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ রায় দেন।
জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা নিয়ে বিশ্ববিখ্যাত স্থপতি লুই আই কানের নকশা অনুসরণ না করার অভিযোগ তুলে সেখানে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের আবাসিক ভবন নির্মাণের বৈধতা নিয়ে ২০০৩ সালে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশ একটি রিট করে।
রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ২০০৪ সালের ২১ জুন জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন নির্মাণ অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। এর আগে ২০০২ সালে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের ভবন নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করলে তা স্থগিত হয়। অবশ্য হাইকোর্টের রায় স্থগিত থাকা অবস্থায় স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন নির্মাণ শেষ হয়ে যায়। এদিকে রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০০৫ সালে নিয়মিত আপিল করে। এই আপিলের ওপর ৩ আগস্ট শুনানি শেষে আপিল বিভাগ রায়ের জন্য আজ দিন রাখেন। রাষ্ট্রপক্ষের আপিল মঞ্জুর করে আজ রায় দেওয়া হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ। রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী তানজিব উল আলম।
রায়ের পর অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ প্রথম আলোকে বলেন, জাতীয় সংসদ এলাকার ভেতরে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন নির্মাণে লুই আই কানের লে–আউট প্ল্যান এবং স্থাপত্য অধিদপ্তরের অনুমোদিত নকশার ব্যত্যয় ঘটেনি বলে শুনানিতে বলেছি। ভবনগুলো নির্মাণ অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। ফলে ওই বাসভবন নির্মাণ বৈধ।