কুমারখালীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

কুপিয়ে হত্যাপ্রতীকী ছবি

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র  প্রতিপক্ষের হামলায় আমিরুল ইসলাম ওরফে নান্নু (৪৫) নামের এক যুবক খুন হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত আটটার দিকে উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের উত্তর চাঁদপুর গ্রামের একটি কলাবাগান থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আমিরুল উপজেলার উত্তর চাঁদপুর গ্রামের মৃত আবদুল জলিলের ছেলে। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের লোকজনের বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা ও উপজেলা থেকে পুলিশ ও ডিবি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশ ও নিহত আমিরুলের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আমিরুল গতকাল ইফতার শেষ করে বাড়ি থেকে কেশবপুরে তাঁর ইজারা নেওয়া পুকুরে যাচ্ছিলেন। পথে তাঁর মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে তাঁকে জোর করে পাশের একটি কলাবাগানে নিয়ে যান প্রতিপক্ষের লোকজন। সেখানে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় থেকে ওই এলাকায় নৌকার প্রার্থী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আবদুর রউফের পক্ষের মধ্যে বিরোধে চলছিল। আমিরুল এবার নৌকার নির্বাচন করেন। নির্বাচনে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হন। নির্বাচনের পরও দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।

এ বিষয়ে সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমিরুল নৌকা প্রতীকের সমর্থক ছিলেন। নির্বাচনের পর থেকে তাঁরা (বর্তমান সংসদ সদস্য) আমার সমর্থকদের ওপর অত্যাচার চালিয়ে আসছেন। এলাকার সাধারণ মানুষও রেহাই পাচ্ছেন না। আমি ঢাকায় রয়েছি। তবে নিহতের পরিবারের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, বর্তমান সংসদ সদস্যর সমর্থকেরা হামলা চালিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।’
এ বিষয়ে জানতে বর্তমান সংসদ সদস্য রউফের মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি তা ধরেননি।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকিবুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। নতুন করে সংঘর্ষ এড়াতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির আমিরুলের লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড কি না, এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। তদন্ত চলছে।