খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে জুবাইদা রহমান

খালেদা জিয়াকে দেখতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে জুবাইদা রহমান। ৬ ডিসেম্বর সকালেফাইল ছবি : বিএনপির মিডিয়া সেল

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছেন তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান। আজ রোববার রাত ৮টা ২৩ মিনিটে হাসপাতালে প্রবেশ করেন তিনি। এর ১০ মিনিট পর হাসপাতালে আসেন তারেক রহমানের শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু। এ ছাড়া আজ হাসপাতালে এসেছেন খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম।

চিকিৎসারত বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত জটিল। তিনি সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন বলে গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে জানিয়েছেন তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

গতকাল রাতে মাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন তারেক রহমান। দুই ঘণ্টার বেশি সময় তিনি সেখানে ছিলেন। তিনি চলে আসার পরই খালেদা জিয়া স্বাস্থ্য নিয়ে ব্রিফ করেন এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

ডা. জাহিদ বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আইসিইউতে থাকা তাঁর মায়ের সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। একই সঙ্গে দেশের মানুষ তাঁর মায়ের জন্য দোয়া করায় তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। চিকিৎসক, নার্সসহ খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় নিয়োজিতদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তারেক রহমান।

৮০ বছর বয়সী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নানা শারীরিক জটিলতার মধ্যে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদ্‌যন্ত্র ও ফুসফুসের সমস্যা ওঠানামা করছে। নিয়মিত চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর কিছু শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা নিয়মিত করা হচ্ছে।

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের এমন পরিস্থিতিতে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার কথা বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হলেও শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা আকাশযাত্রার উপযোগী না হওয়ায় দেশেই তাঁর চিকিৎসা চলমান।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসাকে ঘিরে হাসপাতাল এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। এর মধ্যে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এএসএফ), প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা জোরদার করেন। এ ছাড়া কাঁটাতারের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় হাসপাতালের প্রধান ফটক। নিরাপত্তায় রয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের সিকিউরিটি ফোর্সের (সিএসএফ) সদস্যরাও।

আরও পড়ুন