সোচ্চার না হলে বুড়িগঙ্গা আবাসিক এলাকা হয়ে যেত: রিজওয়ানা হাসান

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

নদী রক্ষায় প্রশাসনের ওপর চাপ বাড়াতে নাগরিক সমাজকে পর্যবেক্ষক ও তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। বুধবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় নদীবিষয়ক কর্মশালায় তিনি এ আহ্বান জানান।

কর্মশালায় চট্টগ্রাম অঞ্চলের কর্ণফুলী, হালদা, সাঙ্গু, বাঁকখালী, কুহেলিকা ও ফেনী নদীর দখল, দূষণ এবং অবৈধ বালু উত্তোলনের নানা চিত্র তুলে ধরা হয়। এ সময় সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘নদী জীবন্ত সত্তা। নদীকে বাঁচাতে হবে। যে নদী ধ্বংস করে, সে জাতীয় স্বার্থকে ক্ষুণ্ন করছে। আমরা যদি নদী বাঁচাতে কথা না বলতাম, তাহলে অনেক আগেই বুড়িগঙ্গা আবাসিক এলাকা হয়ে যেত। বাঁকখালীও হয়তো আরও ১০ বছর আগে শেষ হয়ে যেত। তাই সোচ্চার হতে হবে।’

চট্টগ্রাম বিভাগীয় নদীবিষয়ক কর্মশালায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
ছবি: সংগৃহীত

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘প্রশাসনের কেউ কেউ আমাদের আন্দোলনকে রোমান্টিক দুঃখবোধ বলে ঠাট্টা করেন। কিন্তু আমাদের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে। সত্য ও ন্যায়ের জয় হলে আমাদের জয় হবেই। এটা মনে রাখতে হবে।’  

কর্মশালার বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান শফিক হায়দার চৌধুরী, বর্তমান চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল কিবরীয়া, পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরামের সহসভাপতি সুভাষ বড়ুয়া, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য জসিম চৌধুরী এবং নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আলীউর রহমান।

আলোচকেরা বলেন, দখলদারেরা রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মদদপুষ্ট। তারপরও বসে থাকার সুযোগ নেই। স্থানীয় জনগোষ্ঠীসহ নদী ব্যবহারকারীরা যদি এগিয়ে না আসেন, তাহলে নদী রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে। তাই নদী রক্ষায় স্থানীয় মানুষকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।