সামাজিক সংহতি ও অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিতে ডিজিটাল উদ্ভাবনের নৈতিক ব্যবহার নিয়ে কর্মশালা
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) ঢাকার একটি হোটেলে ‘সামাজিক সংহতি ও অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিতকরণে ডিজিটাল উদ্ভাবনের নৈতিক ব্যবহারের গুরুত্ব’ শীর্ষক এক কর্মশালার আয়োজন করেছিল। ডিজিটাল উদ্ভাবনগুলো কীভাবে সামাজিক সংহতি, বৈচিত্র্য, সহনশীলতা ও সংস্কৃতিকে ইতিবাচকভাবে প্রচার ও প্রসার করতে পারে, সে বিষয়ে গত বুধবার (২৯ জানুয়ারি) এ কর্মশালায় বক্তারা আলোচনা করেন। কর্মশালায় বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য, তথ্যের সঠিক ব্যবহার, ডিপফেকের মতো চ্যালেঞ্জিং বিষয়ে এআইয়ের অনৈতিক ব্যবহার নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন বক্তারা।
মাইক্রোসফট বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইউসুফ ফারুক এআইয়ের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘আমরা যা দেখি, শেয়ার করি কিংবা উপলব্ধি করি, সেটি অনেক ক্ষেত্রে এআই নির্ধারণ করে দিচ্ছে। এখন প্রশ্ন হলো, আমরা কি এআই–কে নিয়ন্ত্রণ করব, নাকি এআই আমাদের নিয়ন্ত্রণ করবে।’
ইউএনডিপি বাংলাদেশের সিনিয়র গভর্ন্যান্স স্পেশালিস্ট শীলা তাসনিম হক অনলাইনে ভুল তথ্য ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতায় এআই টুলের ব্যবহারের প্রভাব তুলে ধরেন। কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ফারিজ সাদিক, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক জুলকারিন জাহাঙ্গীর, ইউএনডিপির প্রজেক্ট ম্যানেজার ফয়সাল বিন মজিদ, মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ফারজানা আফরিন তৃষা, অ্যাকটিভেট রাইটসের প্রতিষ্ঠাতা শোয়েব আবদুল্লাহ, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এআই গবেষক সাফির আবদুল্লাহসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।