ধর্ষণকারীদের দ্রুত শাস্তিসহ ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ
ধর্ষণকারীদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত, সংশ্লিষ্ট আইনের সংস্কারসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে তাঁরা এই বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
দাবিগুলো হলো দ্রুত ধর্ষকণকারীকে বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে; ধর্ষণের শিকার ব্যক্তিদের চিকিৎসার পুরো খরচ রাষ্ট্রকে বহন করতে হবে; দ্রুততম সময়ের মধ্যে ধর্ষণসংক্রান্ত আইনসমূহের যৌক্তিক সংস্কারের জন্য কমিটি গঠন করতে হবে; ধর্ষণসংক্রান্ত আইন নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, ধর্ষণের শিকার ব্যক্তি ও তার পরিবারের প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ এবং ধর্ষণকারীদের শাস্তির আওতায় আনতে গণমাধ্যমের দায়িত্বশীল ভূমিকা নিশ্চত করা; এবং সর্বশেষ দাবি হলো সরকারি উদ্যোগে ধর্ষণের শিকার ব্যক্তিদের মানসিক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা।
বিক্ষোভ সমাবেশে কণ্ঠশিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান বলেন, ‘আমাদের সমাজে কোনো মেয়ে যখন ধর্ষণের শিকার হয়, সামাজিকভাবে তার জীবনটা তছনছ হয়ে যায়। প্রথমত, সে একটা অপরাধের শিকার হয়, দ্বিতীয়ত, সে সামাজিকভাবে ঘৃণিত হয়। আর যারা ধর্ষণ করে, সেদিকে আমরা উল্টো চিত্র দেখে থাকি।’ শুধু রাষ্ট্রীয়ভাবে এটাকে বন্ধ করা সম্ভব নয়, সামাজিকভাবেও এটিতে প্রতিহত করার ওপর জোর দেন তিনি। এই শিল্পী বলেন, ধর্ষণের বিষয়ে আমাদের সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে হবে। ধর্ষক যেই হোক, তাকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী নোমান আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘ধর্ষণ শুধু একটি অপরাধ নয়, এটি একটি সামাজিক ব্যাধি। ধর্ষণের সঙ্গে ক্ষমতাকাঠামোর সম্পর্ক রয়েছে। ধর্ষক সর্বদাই ক্ষমতাকাঠামোর আশ্রয়ে–প্রশ্রয়ে এই কাজগুলো করে যায়।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী অরুণিমা তাহসিন মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বলেন, গত সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশে অন্তত ৪৪টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। তিনি আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘একটা দেশে কতটা বিচারহীনতা থাকলে এমন ঘটনাগুলো ঘটতে পারে?’
সমাবেশে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নওরীন সুলতানা, মুযাক্কির রিফাতসহ আরও কিছু শিক্ষার্থী।