আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার বিচার দাবি ২২ পেশাজীবী সংগঠনের

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদসহ ২২টি পেশাজীবী সংগঠন। বুধবার সংগঠনগুলোর দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে পেশাজীবী নেতারা চলমান ছাত্র আন্দোলনে সমর্থন জানান।

বিবৃতিতে পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা বলেন, তাঁরা শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে যৌক্তিক বলে মনে করেন। কোটা কখনো মেধার বিকল্প হতে পারে না। কোটার কারণে প্রতিভাবান অনেক চাকরিপ্রার্থী নিয়োগপ্রক্রিয়ায় বঞ্চিত হচ্ছেন।

সরকার শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি না মেনে বল প্রয়োগের পথ বেছে নিয়েছেন জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের ওপর নির্বিচার হামলা চালানো হয়েছে। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পিস্তল, রড, লাঠি, হকিস্টিক ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করেছেন। হামলায় নারী শিক্ষার্থীরাও রেহাই পাননি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মঙ্গলবার ছাত্রলীগ ও পুলিশ যৌথভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে অস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলে পড়েছে। হত্যা করা হয়েছে ছয়জন টগবগে ছাত্র-যুবককে। এটি একাত্তরের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরতাকে স্মরণ করিয়ে দেয়। এসব হত্যাকাণ্ডের দায় সরকার কিছুতেই এড়াতে পারে না বলে উল্লেখ করেন বিবৃতিদাতারা।

বিবৃতিদাতা সংগঠনগুলো হলো বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সাদা দল, অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ, অ্যাগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন, জিয়া পরিষদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোট, এমবিএ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ইউনানি আয়ুর্বেদিক গ্র্যাজুয়েট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ডিপ্লোমা অ্যাগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এবং ফিজিওথেরাপিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।