আদিলুরের রায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান অপতৎপরতা: ১০৫ নাগরিকের বিবৃতি

আদিলুর রহমান খান
ফাইল ছবি

মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিনের (এলান) মুক্তি দাবি করে বিভিন্ন সংস্থা, সংগঠন ও ব্যক্তির অবস্থান আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে অপতৎপরতা দাবি করে বিবৃতি দিয়েছেন ১৫৫ নাগরিক।
আজ মঙ্গলবার দেওয়া এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সম্প্রতি বাংলাদেশের বিচার বিভাগের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করার জন্য একটি বিশেষ মহলের অপচেষ্টায় আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।’

২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপল চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ চলাকালে আশপাশের এলাকায় যে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটানো হয়, তা উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে। বলা হয়েছে, এসব ধ্বংসযজ্ঞ চলাকালে পুলিশের সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মানবাধিকার সংগঠন অধিকার তাদের ওয়েবসাইটে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করে, সেখানে একই ব্যক্তির নাম একাধিকবার লেখা, জীবিত ব্যক্তিকে মৃত ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করা, অন্য ঘটনায় মৃত ব্যক্তিদের নাম এই তালিকায় সন্নিবেশ করাসহ কাল্পনিক ব্যক্তিদের নাম তালিকাভুক্ত করে অতিরঞ্জিত ও অসত্য তথ্য প্রকাশ করে।

এ ঘটনার মামলায় আদিলুর রহমান ও নাসির উদ্দিনের সাজা হওয়ার কথা উল্লেখ করে বিবৃতিদাতারা বলেন, ‘রায়ে কোনো পক্ষ সংক্ষুব্ধ হলে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তা সত্ত্বেও একটি মহল আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেছে। আমরা মতপ্রকাশের অধিকারকে সমুন্নত রাখা যেমন অপরিহার্য বলে মনে করি, তেমনি মতপ্রকাশের অধিকারের অজুহাতে যেন মানবতাবিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ও তাদের সাম্রাজ্যবাদী দোসররা নিজেদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার সুযোগ না পায়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করা জরুরি বলে মনে করি।’

এই রায় প্রকাশের পর বিতর্কিত, উগ্রবাদী সংগঠন হেফাজতে ইসলামের সুরে দেশি-বিদেশি কিছু সম্মানিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিবাদ করার বিষয়টি বিস্ময়কর বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।

বিবৃতিদাতাদের পক্ষে স্বাক্ষর করেছেন চিত্রশিল্পী অধ্যাপক সৈয়দ আবুল বারক্ আলভী। বিবৃতিদাতাদের মধ্যে আছেন এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. বজলুল হক খন্দকার, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য হারুন অর রশিদ, অধ্যাপক অনুপম সেন, শিল্পী হাশেম খান ও রফিকুন নবী, কার্টুনিস্ট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিশির ভট্টাচার্য, লেখক–অধ্যাপক বুলবুল ওসমান, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন, চিকিৎসক অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত ও নুজহাত চৌধুরী, বিএফইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল ও অজয় দাশ গুপ্ত, জাতীয় কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাত প্রমুখ।