পূর্বাচলের জমি নিতে অপারগতা প্রকাশের তথ্য অসত্য, বলছে ঢাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

পূর্বাচলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জন্য বরাদ্দ করা জমি গ্রহণে অপারগতার তথ্য সম্পূর্ণ অসত্য বলে দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পূর্বাচলের জমির চূড়ান্ত বরাদ্দ পাওয়ার লক্ষ্যে ‘সানুগ্রহ অনুশাসন’ প্রত্যাশা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান একটি আবেদন পাঠিয়েছেন।

এর আগে পূর্বাচলে বরাদ্দ করা ৫২ একর জমি নিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অপারগতা প্রকাশ করেছে দাবি করে তা থেকে ১০ একর জমি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের নামে বরাদ্দ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে সারসংক্ষেপ পাঠানোর সুপারিশ করে এ মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি।

গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

অপারগতা প্রকাশের এ তথ্য সম্পূর্ণ অসত্য দাবি করে ঢাবি কর্তৃপক্ষ বলেছে, আজ কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুকূলে পূর্বাচলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) কর্তৃক বরাদ্দ করা জমি নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।

তারা বলছে, সংবাদে সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটির গতকাল অনুষ্ঠিত সভার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে পূর্বাচলে বরাদ্দ করা ৫১.৯৯ একর জমি গ্রহণে ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অপারগতা প্রকাশ’ করেছে। এই তথ্য সম্পূর্ণ অসত্য।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পূর্বাচলের প্রস্তাবিত জমিতে ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন ক্যাম্পাস’ তৈরির জন্য ধারণাপত্র তৈরি ও সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বরাতে অসত্য সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই বিভ্রান্তি নিরসনে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট সবার সদয় সহযোগিতা বিশেষভাবে কামনা করছে।