ডিজিটাল আইনের মামলায় সাবেক এসপি বাবুলের রিমান্ড নামঞ্জুর

বাবুল আক্তার ও মাহমুদা খানম মিতু
ফাইল ছবি

চট্টগ্রামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ রোববার দুপুরে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হালিম শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

পিবিআইয়ের চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা গত বছরের ১৯ অক্টোবর নগরের খুলশী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ওই মামলা করেন। মামলায় বাবুল ছাড়াও ইলিয়াস হোসাইন, বাবুলের ভাই হাবিবুর রহমান ও বাবা ওয়াদুদ মিয়াকে আসামি করা হয়। মামলায় বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা খানম হত্যা মামলা নিয়ে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করা ও প্রচারের অভিযোগ আনা হয়। একই অভিযোগে আসামিদের বিরুদ্ধে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন পিবিআইয়ের প্রধান বনজ কুমার মজুমদার।

বাবুল আক্তারের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ প্রথম আলোকে বলেন, বাবুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। আর তাঁর পক্ষে রিমান্ড বাতিলের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত রিমান্ডের আবেদন নাকচ করে দেন। একই সঙ্গে বাবুলের সঙ্গে তাঁর আইনজীবীরা কথা বলার জন্য আবেদন করেন। আদালত এক ঘণ্টা সময় দেন।

এদিকে আজ কড়া নিরাপত্তার মধ্যে বাবুলকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে পুলিশ তাঁকে কারাগারে নিয়ে যায়।

পিবিআইয়ের চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা গত বছরের ১৯ অক্টোবর নগরের খুলশী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ওই মামলা করেন। মামলায় বাবুল ছাড়াও ইলিয়াস হোসাইন, বাবুলের ভাই হাবিবুর রহমান ও বাবা ওয়াদুদ মিয়াকে আসামি করা হয়। মামলায় বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা খানম হত্যা মামলা নিয়ে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করা ও প্রচারের অভিযোগ আনা হয়। একই অভিযোগে আসামিদের বিরুদ্ধে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন পিবিআইয়ের প্রধান বনজ কুমার মজুমদার।

পিবিআই বলছে, মাহমুদা হত্যা মামলা নিয়ে আসামিরা ফেসবুক-ইউটিউবে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন। এতে পিবিআই ও সংস্থাপ্রধানের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। বাবুল, হাবিবুর ও ওয়াদুদের যোগসাজশে বিদেশে থাকা ইলিয়াস মিথ্যা তথ্য প্রচার করেন। ইলিয়াসের ভিডিও প্রকাশের পর পিবিআইয়ের প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেছিলেন বাবুল। তবে আবেদন খারিজ করে দেন আদালত।

২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর বাবুলসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পিবিআই।

আরও পড়ুন