বাস–মিনিবাসের মালিকদের কাছ থেকে নিয়মবহির্ভূতভাবে টাকা আদায়–সংক্রান্ত টিআইবির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে বিআরটিএ। সংস্থাটি বলেছে, টিআইবির প্রতিবেদন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
ঢাকার বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) প্রধান কার্যালয়ে আজ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, টিআইবি অনুমাননির্ভর, অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) গত মঙ্গলবার ‘ব্যক্তিমালিকানাধীন বাস পরিবহন ব্যবসায় শুদ্ধাচার’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। গবেষণায় এসেছে, বাস-মিনিবাসের মালিকের কাছ থেকে বিআরটিএর কর্মকর্তা–কর্মচারীরা বছরে ৯০০ কোটি টাকা নিয়মবহির্ভূতভাবে আদায় করেন। সব মিলিয়ে বাস–মিনিবাসের মালিকেরা চাঁদা ও ঘুষ হিসেবে বিভিন্ন পক্ষকে বছরে প্রায় ১ হাজার ৬০ কোটি টাকা দেয় বলে গবেষণায় উঠে আসে।
এ প্রতিবেদনের বিষয়ে বক্তব্য তুলে ধরতেই আজ সংবাদ সম্মেলন ডাকে পরিবহন খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ। সংস্থাটির চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিআরটিএ কিংবা মন্ত্রণালয়ে কোনো মৌখিক, লিখিত অভিযোগসহ কোনো তথ্য না থাকা সত্ত্বেও টিআইবি কর্তৃক অসত্য প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। বিআরটিএর সেবাগুলো ডিজিটাল হয়ে যাওয়ায় সশরীর অফিসে যেতে হয় না। ফলে ঘুষ–দুর্নীতিও হয় না।
টিআইবির প্রতিবেদন বিআরটিএসহ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে বলে মন্তব্য করেন বিআরটিএর চেয়ারম্যান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের অনুমাননির্ভর তথ্য, যা জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টিসহ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে, তার ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন প্রকাশে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। তবে টিআইবি যে গঠনমূলক ও বাস্তবধর্মী সুপারিশগুলো করেছে, তা আমলে নিয়ে কাজ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিআরটিএর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।