প্রার্থিতা ফিরে পেলেন মেয়র মুহিবুর রহমান

মুহিবুর রহমান
ছবি: সংগৃহীত

সিলেট-২ আসনে (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমানকে সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্ত আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে এবং প্রার্থিতা ফিরে পেতে মুহিবুরের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ রোববার এই আদেশ দেওয়া হয়। বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

হাইকোর্টের আদেশের ফলে মুহিবুর রহমানের নির্বাচনে অংশ নিতে আইনগত কোনো বাধা নেই বলে জানান তাঁর আইনজীবী এম মনজুর আলম। অবশ্য এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী ইয়াছিন খান।

মামলার নথিপত্র থেকে জানা যায়, বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। তবে মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ না করে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কারণ উল্লেখ করে ৪ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তা ওই মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। এর বিরুদ্ধে মুহিবুর রহমান ইসিতে আপিল করেন। ১৫ ডিসেম্বর ইসি আপিল নামঞ্জুর করে। তাই প্রার্থিতা ফিরে পেতে ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন মুহিবুর রহমান।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহদীন মালিক, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এম মনজুর আলম ও মো. তায়্যিব–উল–ইসলাম। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. ইয়াছিন খান।

আইনজীবী এম মনজুর আলম প্রথম আলোকে বলেন, সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে পৌরসভার মেয়রের পদ শূন্য হবে বলে পৌরসভা আইনের ৩৩ ধারায় উল্লেখ আছে। এর অর্থ চাইলে মেয়র পদে থেকে কেউ নির্বাচন করতে পারবেন। তবে নির্বাচিত হলে তাঁর মেয়রের পদ শূন্য হবে। এর আগে মহেশপুর পৌরসভার মেয়র হিসেবে দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ২০০৮ সালে এক ব্যক্তি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচিত হন। পদত্যাগ না করে তাঁর সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বৈধতা তথা সংসদ সদস্য হিসেবে বহাল থাকা নিয়ে নির্বাচন কমিশন তাঁকে নোটিশ দিয়েছিল। এর বৈধতা নিয়ে ওই ব্যক্তি রিট করলে হাইকোর্ট ইসির নোটিশ অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। মনজুর আলম আরও বলেন, দশম জাতীয় সংসদের চারজন সদস্য পৌর মেয়রের পদ থেকে পদত্যাগ না করে নির্বাচনে অংশ নেন। নির্বাচিত হওয়ার পর ওই চার সংসদ সদস্যের পৌর মেয়রের পদ শূন্য ঘোষণা করে স্থানীয় সরকার বিভাগ—এসব যুক্তিতে রিটটি করা হয়। হাইকোর্ট রুল দিয়ে মুহিবুর রহমানকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি দিতে এবং তাঁকে প্রতীক বরাদ্দ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।