এক কেন্দ্রে ভোটার আড়াই হাজার, ৬ ঘণ্টায় ভোট দেন ৪৩৫ জন

চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং এলাকায় অবস্থিত এই ভোটকেন্দ্রেও ভোট দেওয়া হার ছিল কম। চট্টগ্রাম, ৩০ জুলাই
ছবি: জুয়েল শীল

চট্টগ্রাম নগরের হালিশহরে অবস্থিত আনন্দিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ৬৫০ জন। এখানে চট্টগ্রাম-১০ (পাহাড়তলী-ডবলমুরিং-হালিশহর-পাঁচলাইশ) আসনের উপনির্বাচনের ভোট নেওয়া হয়েছে। আজ রোববার সকাল আটটা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত কেন্দ্রটিতে ভোট পড়ে ৪৩৫টি।
দুপুরে কেন্দ্রটিতে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের বাইরে কয়েকটি টুলে বসে আছেন নৌকার সমর্থকেরা। নৌকার এজেন্ট ছাড়া আর কোনো প্রার্থীর এজেন্ট নেই। নেই ভোটারদের সারি।

কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আবু নাঈম বলেন, ভোটারের উপস্থিতি কিছুটা কম। তবে সকাল থেকে কোনো সমস্যা হয়নি। এখন পর্যন্ত প্রায় ১৬ শতাংশ ভোট পড়েছে।

আজ সকাল আটটায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। সব কটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়া হয়। এই উপনির্বাচনে মোট প্রার্থী ছয়জন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী সামশুল আলম (লাঙ্গল), তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত (সোনালি আঁশ), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রশীদ মিয়া (ছড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আরমান আলী (বেলুন) ও মনজুরুল ইসলাম ভূঁইয়া (রকেট)।

আরও পড়ুন

ইতিমধ্যে হামলার অভিযোগ এনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আরমান আলী। দুটি কেন্দ্রে দুই দফা হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। অন্যরা এখনো নির্বাচনে আছেন। তবে এই আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. মহিউদ্দিনের সঙ্গে জাতীয় পার্টির সামশুল আলমের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা করছেন ভোটাররা।

দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং এলাকায় অবস্থিত রামপুর নূতন বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়েও নৌকার সমর্থকদের দাপট দেখা গেছে। সেখানেও ভোটারের সারি যেমন ছিল না, তেমন ছিল না অন্য কোনো প্রার্থীর এজেন্টও।

কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. মাকসুদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩ হাজার ৯৫৭। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোট পড়ে ১৭৩টি। ভোটারের উপস্থিতিও কম।

হালিশহরের রাবেয়া বসরী মহিলা উচ্চবিদ্যালয়ের কেন্দ্রে ভোটারের অপেক্ষায় নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্তরা। চট্টগ্রাম, ৩০ জুলাই
ছবি: জুয়েল শীল
আরও পড়ুন

উপনির্বাচনে মোট ১৫৬টি কেন্দ্রের ১ হাজার ২৫১টি কক্ষে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ হয়। কেন্দ্রগুলোর মধ্যে ৯৫টি সাধারণ, বাকি ৫৯ কেন্দ্র ‘গুরুত্বপূর্ণ’। গুরুত্বপূর্ণ এসব কেন্দ্রে বাড়তি নিরাপত্তা রয়েছে। ভোট উপলক্ষে চার প্লাটুন বিজিবি, র‍্যাবের চারটি টহল দল ও পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়।