ঢাকায় বিএনপিপন্থী চিকিৎসক সাখাওয়াতসহ গ্রেপ্তার ২১
পুলিশের কাজে বাধা ও গাড়ি ভাঙচুরের একটি মামলায় বিএনপিপন্থী চিকিৎসক সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থসহ বিএনপি ও এর সহযোগী অঙ্গসংগঠনের ২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পল্টন থানা–পুলিশ।
গতকাল বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক দন্ত চিকিৎসক সাখাওয়াত হোসেন বিএনপির আনুষ্ঠানিক কোনো পদে নেই। তবে তিনি বিএনপিপন্থী হিসেবে পরিচিত।
ডা. সাখাওয়াতসহ গতকাল গ্রেপ্তার ২১ জনকে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র থেকে প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
মামলার নথিপত্রে থাকা তথ্যানুযায়ী, কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে গতকাল বিএনপি গায়েবানা জানাজার আয়োজন করে। গায়েবানা জানাজা শেষে বিএনপির নেতা–কর্মীরা বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে মিছিল বের করেন। পরে তাঁরা সরকারবিরোধী স্লোগান দেন। পুলিশকে উদ্দেশ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। গাড়ি ভাঙচুর করেন তাঁরা। এতে পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হন বলেও নথিতে উল্লেখ করা হয়।
এ ঘটনায় পল্টন থানার উপপরিদর্শক আলাউল হক বাদী হয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, ঢাকা মহানগর বিএনপির (উত্তর) আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরবসহ ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের আরও অজ্ঞাতনামা হিসেবে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
যে ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে আছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন আহম্মেদ (৩০), বিএনপি নেতা আবদুল কাইয়ুম খান (৫৮), আমান উল্লাহ ভূঁইয়া (৫৪), দিল মোহাম্মদ (৫৬) ও নওয়াব আলী (৪৯)।
মামলায় আরও আসামি করা হয়েছে যুবদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসানকে।