বাচসাস সম্মাননা পেলেন সেলিনা হোসেন-আনিসুল হকসহ ২০ গুণীজন

সেলিনা হোসেন ও আনিসুল হক

বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সংসদের (বাচসাস) সম্মাননা পেলেন ২০ গুণীজন। আজ শনিবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে বাচসাসের নতুন কমিটির অভিষেক ও গুণীজন সম্মাননা দেওয়া হয়।

বাচসাস সম্মাননা-২০২২-এ ভূষিত হন সাহিত্যনির্ভর চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য রাবেয়া খাতুন (মরণোত্তর), সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক (মরণোত্তর), একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত গীতিকবি গাজী মাজহারুল আনোয়ার (মরণোত্তর), বরেণ্য সুরকার ও সংগীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলী (মরণোত্তর), সাহিত্যনির্ভর চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানে কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য নাসির উদ্দীন ইউসুফ, সাংস্কৃতিক জাগরণে অনবদ্য অবদানের জন্য লিয়াকত আলী লাকী, সাহিত্যনির্ভর চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য আনিসুল হক, নাটক ও চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য মাসুম রেজা, একুশে পদকপ্রাপ্ত আলোকচিত্র সাংবাদিক ও বাচসাস সদস্য পাভেল রহমান, চলচ্চিত্রশিল্প ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের জন্য চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, টিভি সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য মোজাম্মেল বাবু, চলচ্চিত্র প্রযোজনায় বিশেষ অবদানের জন্য হাবিবুর রহমান খান, ‘হাসিনা: আ ডটারস টেল’ চলচ্চিত্রের জন্য পিপলু আর খান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, বরেণ্য সুরকার ও সংগীত পরিচালক শেখ সাদী খান, চারুশিল্প, অভিনয় ও নির্দেশনায় আফজাল হোসেন, চলচ্চিত্রশিল্পে অবদানের জন্য চিত্রনায়ক শাকিব খান ও সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী কোনাল ও ইমরান মাহমুদুল।

ইমরান মাহমুদুলের হাতে বাচসাস সম্মাননা-২০২২ তুলে দিচ্ছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ
ছবি: সংগৃহীত

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, আজ শুধু সরকারে নয়, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষকসহ দেশের সব পেশার মানুষের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আগের তুলনায় অনেক গভীরে প্রোথিত হয়েছে। বাচসাসের নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা তাদের লেখা ও চলচ্চিত্রের মাধ্যমে দেশের চলচ্চিত্রশিল্পকে এগিয়ে নিতে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাবে বলে আশা করি।’
হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা একজন সংস্কৃতিমনা মানুষ। বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রায় ২০০ সিনেমা হল আবার চালু হয়েছে শুনে তিনি অত্যন্ত উৎসাহিত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নতুন সিনেপ্লেক্স, সিনেমা হল নির্মাণ ও পুরোনো হল সংস্কারের জন্য এক হাজার কোটি টাকার সহজ ঋণ তহবিল গঠিত হয়েছে। কেউ যদি মার্কেটে সিনেপ্লেক্স নির্মাণ করতে চায়, ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবে। ব্যাংকগুলোকেও আমরা ঋণ দিতে উদ্বুদ্ধ করব।’ বাংলাদেশের সিনেমা শুধু দেশেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, সহসাই বিশ্বদরবারে মর্যাদার আসন করে নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বাচসাস সভাপতি রাজু আলীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মোল্লা জালাল, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান, একুশে পদকপ্রাপ্ত আলোকচিত্রী পাভেল রহমান, চিত্রনায়ক ওমর সানী, বাচসাস সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ প্রমুখ।