বর্ষাকাল বিদায় নিলেও আকাশে কালো মেঘের আনাগোনা। দেশের ভেতরে ও উজানে বৃষ্টিতে তিস্তার পানি উপচে পড়েছে। এতে দেশের উত্তরাঞ্চলে দেখা দিয়েছে হঠাৎ বন্যা। সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, চলতি সপ্তাহের বাকি সময়ে তিস্তা ছাড়াও দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সিলেট বিভাগের তিনটি জেলায় হঠাৎ বন্যা দেখা দিতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলা সদরের নদ-নদীগুলোতে পানি দ্রুত বাড়ছে। দু-এক দিনের মধ্যে সেখানকার নদী-তীরবর্তী ও পাহাড়ি এলাকাগুলোতে স্বল্প স্থায়ী বন্যা শুরু হতে পারে। বন্যার পানি নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহের কয়েকটি এলাকাতেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। তবে হাওরে ফসল না থাকায় বন্যার পানিতে খুব বেশি ক্ষতির আশঙ্কা নেই।
এদিকে তিস্তাপারে গত কয়েক দিন আগে দেখা দেওয়া বন্যার পানি আজ শনিবার কিছুটা কমেছে। তবে ওই পানি আবার দু-এক দিনের মধ্যে বাড়তে পারে। ফলে লালমনিরহাট, নীলফামারী ও রংপুর বিভাগের নিম্নাঞ্চলে বন্যার পানি প্রবেশ করতে পারে।
জানতে চাইলে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভূইয়া প্রথম আলোকে বলেন, উজানে ব্যাপক বৃষ্টি শুরু হয়েছে। দেশের ভেতরেও বৃষ্টি বাড়ছে। ফলে তিস্তা অববাহিকা ও সিলেট বিভাগের কয়েকটি স্থানে চলতি সপ্তাহে বেশির ভাগ সময়জুড়ে বন্যা হতে পারে।
তবে বৃষ্টি ও বন্যার পানি বেশি দিন স্থায়ী হওয়ার আশঙ্কা কম বলে জানান আরিফুজ্জামান ভূইয়া। তিনি বলেন, এ বছর দেশের বড় নদ-নদী, যেমন পদ্মা, মেঘনা ও ব্রহ্মপুত্রে বন্যার তেমন আশঙ্কা নেই।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও কয়েক দিন ধরে বৃষ্টিপাত হতে পারে। কাল রোববার রংপুর, রাজশাহী, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় ও বাকি বিভাগগুলোর কয়েকটি জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি যশোর ও চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে যে মৃদু দাবদাহ চলছে, তার প্রভাব কমে আসতে পারে।