সাভারে তেলের লরি উল্টে আগুনের ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটফাইল ছবি

ঢাকার অদূরে সাভারের জোরপুল এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে জ্বালানি তেলবাহী যান (লরি) উল্টে তেল ছড়িয়ে আগুনের ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হলো।

সর্বশেষ মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম সাকিব। রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সাকিবের মৃত্যু হয়।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, সাকিবের শরীরের শতভাগ দগ্ধ হয়েছিল।

পরিবার বলছে, সাকিবের বয়স ১৫ বছর। তবে বার্ন ইনস্টিটিউটের নথিতে তাঁর বয়স লেখা ২৪ বছর।

একটি ট্রাকের চালকের সহকারী (হেলপার) হিসেবে কাজ করা সাকিবের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলায়। বাবা অটোরিকশাচালক আবেদ আলী। দুই ভাইয়ের মধ্যে সাকিব ছোট।

বড় ভাই মো. নাঈম বলেন, অভাবের সংসার। তাই চার মাস আগে সাকিবকে কাজে দেওয়া হয়। তরমুজবাহী ট্রাকের চালকের সহকারীর কাজ করছিল সাকিব। আর তিনি (নাঈম) পাইলিংয়ের কাজ করেন। বাবা খাগড়াছড়িতে অটোরিকশা চালান।

নাঈম বলেন, ট্রাকটি বরগুনা থেকে গাজীপুর যাচ্ছিল। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে তাঁরা দুর্ঘটনার খবর পান। পরে বার্ন ইনস্টিটিউটে গিয়ে দেখেন, সাকিবের গোটা শরীর দগ্ধ হয়েছে।

দুর্ঘটনাটি সম্পর্কে প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাদের ভাষ্য, একটি জ্বালানি তেলবাহী যান (লরি) উল্টে তেল ছড়িয়ে পড়ে। এতে আশপাশে থাকা দুটি ট্রাক, একটি কাভার্ড ভ্যান ও একটি গাড়িতে (প্রাইভেট কার) আগুন লেগে যায়। এতে এসব যানবাহনে থাকা আরোহীদের ১০ জন পুড়ে যান।

পুড়ে যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে একজন ঘটনাস্থলে মারা যান। বার্ন ইনস্টিটিউটে আনার পর মারা যান একজন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে মারা যান এক ব্যক্তি। আর সাকিব মারা যান দিবাগত রাত ১টা ২০ মিনিটে। এ ঘটনায় দগ্ধ ছয়জন এখন বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।