গাজীপুরে আগুনের ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটফাইল ছবি

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে সিলিন্ডারের চাবি খুলে বের হওয়া গ্যাসে আগুন লেগে দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে আরও একজন মারা গেছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউতে) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মশিউর আলী (২২) নামের ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তাঁকে নিয়ে এ আগুনের ঘটনায় ১৩ জনের মৃত্যু হলো।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মশিউরের শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।

মশিউর আলী গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানার কর্মী ছিলেন। তাঁর বাড়ি লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা উপজেলার পারুলিয়া গ্রামে। ঘটনার দিন তিনি কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরছিলেন।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইয়াসিন আরাফাত (২১) নামের আরেক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তিনি বাসচালকের সহকারী ছিলেন। গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসায়। স্ত্রী রুমি আক্তার ও এক মাস বয়সী শিশুসন্তানকে নিয়ে কালিয়াকৈর এলাকায় ভাড়া থাকতেন।

গত বুধবার গাজীপুরের কালিয়াকৈরের তেলিরচালা এলাকার একটি বাড়িতে গ্যাসের আগুনে ৩৬ জন দগ্ধ হন। এ ঘটনায় ১৫ জন এখন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা হাসপাতালে ভর্তি আছেন, তাঁদের কাউকেই শঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না। অনেকেরই শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। এতে বেশি রোগী মারা যাচ্ছেন।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তেলিরচালা এলাকায় শফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী জমি ভাড়া নিয়ে বসতি তৈরি করে ভাড়া দিয়েছেন। সেখানকার একটি ঘরের সিলিন্ডারের গ্যাস শেষ হয়ে গেলে পাশের দোকান থেকে একটি সিলিন্ডার কিনে আনেন তিনি। সেটির চাবি খুলে গ্যাস বের হয়ে পাশের চুলার আগুনের সংস্পর্শে এলে দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে মোট ৩৪ জনকে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছিল।