৫২ পদ অনুমোদন, পুলিশ চায় আরও

দেড় মাস আগে পুলিশের উচ্চপর্যায়ের দুটি পদে মোট ১৭৪টি অতিরিক্ত পদ (সুপারনিউমারারি) সৃষ্টির জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছিল পুলিশ সদর দপ্তর। কিন্তু সরকার ৫২টি পদ সৃষ্টির অনুমোদন দিয়েছে। পুলিশ বলছে, এই পদ তাদের জন্য অপ্রতুল। তাই পুলিশের চাওয়া অনুযায়ী তাদের আরও পদ বাড়াতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পুনরায় চিঠি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।  

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের ‘ক্ষোভ প্রশমনে’ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ১৯ সেপ্টেম্বর পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ও ডিআইজি পদ বাড়াতে জনপ্রশাসনকে এই চিঠি দেয়।

সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, পুলিশ সদর দপ্তর গত জুলাইয়ের মাঝামাঝি অতিরিক্ত মহাপরিদর্শকের (অতিরিক্ত আইজি) ৩৪টি ও উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) পদমর্যাদার ১৪০টি অতিরিক্ত পদ সৃষ্টির জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠায়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় দুটি অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (গ্রেড-২) এবং ৫০টি ডিআইজি পদ সৃষ্টিতে সম্মতি দিয়েছে। এ নিয়ে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। 

পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, করোনাকালে রাষ্ট্রের প্রয়োজনে মানবিক কাজ করা ছাড়াও পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব পালন করেছে। 

পুলিশের ওপরের পদে পদোন্নতি অত্যন্ত কম বলে মনে করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি বলেন,  বৈষম্যের কারণে অন্যান্য বিসিএস ক্যাডারদের চেয়ে পুলিশ পিছিয়ে পড়েছে বলে দাবি করেন তিনি। 

পুলিশ কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, পুলিশের শীর্ষ পর্যায়ে পদোন্নতি না হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে হতাশা কাজ করছিল। অল্পসংখ্যক পদ থাকায় সামগ্রিকভাবে বিবেচনা করে পদোন্নতির ক্ষেত্রে অসংগতি দূর করতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে তা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। কিন্তু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে পুলিশ কর্মকর্তাদের মধে৵ আবার অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিউমারারির মাধ্যমে অতিরিক্ত পদ সৃষ্টির যৌক্তিকতা দেখিয়ে আবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তা মেনে নেবে।

বর্তমানে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ২২ জন ও ডিআইজি আছেন ৮৬ জন। পুলিশ কর্মকর্তারা মনে করেন, এ দুই পদে পদোন্নতি পাওয়ার মতো কর্মকর্তা আছেন অনেকে। এ জন্য তাঁদের পক্ষে সুপারনিউমারারি পদের জন্য আবেদন করা হয়েছে। কয়েক বছর আগে প্রশাসন ক্যাডার সুপারনিউমারারি প্রথা প্রথম চালু করে। এরপর পুলিশেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে সুপারনিউমারারি পদ সৃষ্টি করা হয়।