ফয়সাল করিমকে পালাতে সহায়তার অভিযোগে দুজন আবারও রিমান্ডে

সিবিয়ন দিউ ও সঞ্জয় চিসিমকে আদালতে নেওয়া হচ্ছে। রোববার, ২১ ডিসেম্বরছবি: প্রথম আলো

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিমকে পালাতে সহায়তার অভিযোগে গ্রেপ্তার দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবার পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। আসামিরা হলেন সিবিয়ন দিউ ও সঞ্জয় চিসিম।

আজ রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ ইসলামের আদালত এই আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, আজ তিন দিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে আনা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির মতিঝিল জোনাল টিমের পরিদর্শক ফয়সাল আহম্মেদ তাঁদের আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবারও সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। বিচারক পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ‘আমরা বলতাম ওসমান হাদি আমাদের সঙ্গে আছেন। এখন বলতে হচ্ছে, ওসমান হাদি আমাদের মাঝে নেই।’

আসামিদের আবার রিমান্ডে নেওয়ার যৌক্তিকতা তুলে ধরে ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ফিলিপ নামের একজনের সঙ্গে যোগাযোগের কথা স্বীকার করেছেন। বিভিন্ন সূত্রে খবর আসছে, ফিলিপ প্রধান আসামিকে দেশের বাইরে নিয়ে গেছেন। কিন্তু ফিলিপ আসলেই দেশের বাইরে, নাকি দেশে আছেন, তা নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি তাঁকে ছাড়া অন্য কারও সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা এবং ফিলিপের সঙ্গে কিলিং মিশনের কে বা কারা যোগাযোগ করেছে, তা জানার জন্য এই আসামিদের আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। তাই তাঁদের সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।

১৭ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া থেকে সিবিয়ন ও সঞ্জয়কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন তাঁদের তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি ঢাকা–৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছিলেন। ১২ ডিসেম্বর দুপুরে মতিঝিল এলাকায় প্রচার শেষে ফেরার পথে পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তরা তাঁর মাথায় গুলি করে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাদিকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর তিনি মারা যান।

হাদিকে গুলির ঘটনায় ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের ১৪ ডিসেম্বর পল্টন থানায় একটি হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। হাদির মৃত্যুর পর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।