সার নিয়ে কারসাজি করলে লাইসেন্স বাতিল: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত চাহিদা অনুযায়ী সব রকমের সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। কাজেই সার নিয়ে কারসাজি করে কৃত্রিম সংকট তৈরি ও বেশি দামে বিক্রি করলে ডিলারদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। পাশাপাশি কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান হয়।
মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের ভিত্তি হলো জনগণ। জনগণের সমর্থন নিয়েই বারবার ক্ষমতায় এসেছে, সরকার পরিচালনা করছে। কোনো বিদেশি শক্তি বা রাষ্ট্রের ওপর আওয়ামী লীগ কখনোই নির্ভরশীল নয়, তাদের কাছে ধরনাও দেয় না। অন্যদিক বিএনপি সব সময়ই জনগণ নয়, বরং অন্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে ক্ষমতায় এসেছে। এখনো ক্ষমতায় আসার জন্য তারা বিদেশি প্রভু ও রাষ্ট্রের কাছে ছোটাছুটি করছে, ধরনা দিয়ে বেড়াচ্ছে।
রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম করে বিএনপি বর্তমান সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না বলেও এ সময় মন্তব্য করেন কৃষিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক ছিলেন সাহিত্যিক ও বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন। বঙ্গবন্ধুর ওপর স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল। বাকৃবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আওলাদ হোসেনের সঞ্চালনায় সংগঠনের নির্বাহী সভাপতি মো. হামিদুর রহমান, ছাত্রলীগ বাকৃবি শাখার সাবেক সভাপতি সারোয়ার মোর্শেদসহ বিশিষ্ট কৃষিবিদেরা বক্তব্য দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, সারে গত বছর ২৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলেই এ বিশাল ভর্তুকি দেওয়া সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, ‘১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পেছনের কুশীলবদের চিহ্নিত করতে একটি কমিশন গঠন করা প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার আমরা করেছি। খুনিদের অনেকের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। তবে পাঁচ আসামি বিদেশে পালিয়ে আছে, তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা কার্যকর করতে পারলে ষড়যন্ত্রের খেলা এ দেশে কমবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান, কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, ইমেরিটাস অধ্যাপক সাত্তার মণ্ডল বক্তব্য দেন।