বাজারে থাকা মুঠোফোন ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তালিকাভুক্ত করবে বিটিআরসি

মুঠোফোনফাইল ছবি

দেশের বাজারে থাকা অবিক্রীত সব মুঠোফোন ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়মিতকরণের (তালিকাভুক্ত) বিশেষ বার্তা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি কার্যালয়ে মুঠোফোন আমদানি ও ভেন্ডর লাইসেন্স তালিকাভুক্তিকরণ সহযোগিতার বিষয়ে মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের (এমবিসিবি) প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বিটিআরসি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সভায় মুঠোফোন আমদানি এবং ভেন্ডর এনলিস্টমেন্ট সনদ প্রদানের প্রক্রিয়া কীভাবে সহজ করা যায়, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সিদ্ধান্তগুলো হলো—

১. ন্যূনতম কাগজপত্র দাখিলের মাধ্যমে স্বল্প সময়ের মধ্যে ভেন্ডর এনলিস্টমেন্ট সনদ প্রদান এবং বিদেশ থেকে ক্লোন/কপি/ব্যবহৃত/রিফারবিশড মোবাইল হ্যান্ডসেট বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ রোধকল্পে শুধু মুঠোফোনের মূল উৎপাদনকারী সংস্থার পাশাপাশি যেকোনো অনুমোদিত সরবরাহকারীর (অথরাইজড ডিস্ট্রিবিউটর) প্রত্যয়নপত্রসহ (চুক্তির পরিবর্তে) আবেদন করা হলে বিটিআরসি থেকে সহজেই তাদের অনুকূলে আমদানির অনুমোদন করা হবে।

২. একই সঙ্গে ক্লোন/কপি/ব্যবহৃত/রিফারবিশড মোবাইল হ্যান্ডসেট বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ রোধের বিষয়টি নিশ্চিত করে আমদানি প্রক্রিয়া কীভাবে আরও সহজ করা যায়, সে বিষয়ে সুস্পষ্ট লিখিত প্রস্তাব দেবে এমবিসিবি।

৩. এমবিসিবির চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের বাজারে বিদ্যমান অবিক্রীত সব মোবাইল হ্যান্ডসেট নিয়মিতকরণের উদ্দেশে এ–সংশ্লিষ্ট তথ্য নির্ধারিত ছকে জমা দিলে বিটিআরসি থেকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘বেতার যন্ত্রপাতি ব্যবহার, বাজারজাতকরণ ও তালিকা গ্রহণের নির্দেশিকা, ২০২৪’ অনুযায়ী বৈধভাবে মুঠোফোন আমদানি করা হলে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানকে বিটিআরসি থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।

আরও পড়ুন