চট্টগ্রাম থেকে মালয়েশিয়ায় পাঠানো কনটেইনারে মৃতদেহ

মালয়েশিয়ার পেনাং বন্দরে নেওয়ার পর এই কনটেইনারে একজনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মালয়েশিয়ায় পণ্য নিয়ে যাওয়া জাহাজের একটি খালি কনটেইনারে একজনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। মালয়েশিয়ার পুলিশ দুই দিন আগে পেনাং বন্দর থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে। বিষয়টি নিয়ে এখনো বাংলাদেশ সরকার বা জাহাজের মালিকপক্ষকে বিস্তারিত কিছু জানায়নি মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ।

যে কনটেইনার থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সেটি ৪০ ফুট লম্বা। কনটেইনারটি ট্র্যাকিং করে জানা যায়, ৪ অক্টোবর বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপো থেকে খালি কনটেইনারটি বের করা হয়। এরপর বন্দরে নিয়ে নিউমুরিং টার্মিনালের চার নম্বর জেটিতে অপেক্ষমাণ ‘এমভি সোয়াসদি আটলান্টিক’ নামের একটি জাহাজে তুলে দেওয়া হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং টার্মিনাল থেকে জাহাজটি ৬ অক্টোবর ভোরে মালয়েশিয়ার পেনাং বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়। সেখানে পৌঁছায় ৯ অক্টোবর।

দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক সিনোকর শিপিং লাইনসের ‘এমভি সোয়াসদি আটলান্টিক’ জাহাজের স্থানীয় প্রতিনিধি গ্লোব লিংক অ্যাসোসিয়েটস। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানান, খালি কনটেইনার নামানোর পর গত শনিবার কনটেইনারে মরদেহ শনাক্ত করা হয়। কনটেইনার থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়ার পরই বন্দর কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন মরদেহটি উদ্ধার করে।

সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপো থেকে বের করার সময় কনটেইনারটি খুলে যাচাই করা হয় বলে দাবি করেছে ডিপো কর্তৃপক্ষ। খোলা ডিপোর এই ছবিও তারা দিয়েছিল
ছবি: সংগৃহীত

জানতে চাইলে গ্লোব লিংক অ্যাসোসিয়েটসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈনুল হক চৌধুরী সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘মালয়েশিয়ার পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে। তারা এখনো আমাদের প্রিন্সিপালকে (মেইন লাইন অপারেটর–সিনোকর) বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত কিছুই জানায়নি।’

শিপিং এজেন্ট সূত্রে জানা যায়, কনটেইনারটি বিএম কনটেইনার ডিপোতে নেওয়া হয় গত ২২ সেপ্টেম্বর। ১৩ দিনের মাথায় ৪ অক্টোবর ডিপো থেকে বন্দরের উদ্দেশে নেওয়া হয়। নিয়মানুযায়ী, ডিপো থেকে বের করার সময় এবং বন্দর ফটক দিয়ে ঢোকানোর সময় কনটেইনারের দরজা খুলে দেখার কথা।

বিএম ডিপো স্মার্ট গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান। স্মার্ট গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক ক্যাপ্টেন মইনুল আহসান প্রথম আলোকে বলেন, কনটেইনার বের করার সময় খুলে যাচাই করা হয়েছে। ছবিও তুলে সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে। বিএম ডিপো থেকে খালি অবস্থায় কনটেইনারটি বন্দরে নেওয়া হয়েছে।

এই বিএম ডিপোতে গত ৪ জুন রাতে আগুন লেগে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যসহ ৫১ জন নিহত এবং দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছিলেন।

কনটেইনারে লাশ পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।