‘জালিয়াতি’ তুলে ধরা শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি বাতিল চায় শিক্ষক সমিতি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে এক প্রার্থীর ‘জালিয়াতি’ তুলে ধরা শিক্ষকের বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটি বাতিল চেয়েছে শিক্ষক সমিতি। এ কমিটি গঠনকে হয়রানিমূলক বলে মনে করছেন শিক্ষক নেতারা।
এ নিয়ে রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিরীণ আখতারকে চিঠি দেয় শিক্ষক সমিতি। ১৩ আগস্ট সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের বৈঠকের আলোকে এ চিঠি দেওয়া হয়। সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল হক এতে সই করেন।
এর আগে গত ১ আগস্ট শিক্ষক নিয়োগের নির্বাচনী বোর্ডে অসৌজন্যমূলক আচরণ এবং গণমাধ্যমে গোপনীয় নথি প্রকাশের অভিযোগে পালি বিভাগের সভাপতি শাসনানন্দ বড়ুয়ার বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল কর্তৃপক্ষ। পালি বিভাগের প্রভাষক পদে ‘জালিয়াতির’ পরও এক সহকারী প্রক্টরের স্ত্রীকে নিয়োগের চেষ্টার বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন তিনি।
গত বছর ২৫ জানুয়ারি ও ২৪ আগস্ট পালি বিভাগের প্রভাষক পদে আলাদা দুটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। দুটিতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অরূপ বড়ুয়ার স্ত্রী অভি বড়ুয়া আবেদন করেন। তবে তিনি স্নাতকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম না হয়েও আবেদনপত্রে প্রথম বলে উল্লেখ করেন।
এ ছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বরের শতকরা হিসাব উল্লেখ করার কথা থাকলেও তিনি তা করেননি। আবেদনপত্রে এমন ভুল তথ্য দেওয়াকে ‘জালিয়াতি’ হিসেবে চিহ্নিত করে আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই কমিটি।
চিঠিতে বলা হয়, আপত্তি থাকার পরেও সেই প্রার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। উপাচার্য সংশ্লিষ্ট ওই প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে শাসনানন্দের বিরুদ্ধে এ তদন্ত কমিটি করেছে বলে শিক্ষক সমিতি মনে করে।
তবে শিক্ষক সমিতির অভিযোগ অস্বীকার করেন উপাচার্য শিরীণ আখতার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তদন্ত কমিটি গঠনের এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সিন্ডিকেট। তাঁর কোনো প্রতিহিংসা নেই। তিনি সিন্ডিকেটকে একজন শিক্ষক যেন অপমানিত না হয় এমন করে ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন। এরপর সিন্ডিকেট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।