মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জালাল উদ্দিন আহমেদ ও শেখ সামসুর রহমানকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮–এর বিচারক বদরুল আলম ভূঞা আজ সোমবার এ আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সরকারি কৌঁসুলি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।
অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জালাল উদ্দিন আহমেদকে ১২ বছর ও শেখ সামসুর রহমানকে ৫ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁদের প্রত্যেককে ৬০ কোটি টাকা অর্থ দণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে আসামিরা পলাতক থাকায় তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
রায়ে বলা হয়েছে, অধিক প্রলোভনের ফাঁদে পড়ে যাঁরা অর্থ রেখেছেন, তাঁদের বেশিরভাগ সামরিক বাহিনীর সৈনিক পর্যায়ের ছিলেন বা আছেন। এ ধরনের মানি লন্ডারিং আইনের অপরাধে যুক্ত থাকায় আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া আবশ্যক।
মামলার কাগজপত্রের তথ্য বলছে, মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির নামে ৫৮ কোটি টাকা অর্থ পাচারের অভিযোগে ২০১৪ সালে রাজধানীর বনানী থানায় জালাল উদ্দিন আহমেদসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ওই মামলা তদন্ত করে ২০১৬ সালে চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। আদালত ২০১৭ সালের ২০ সেপ্টেম্বর দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
অভিযোগপত্রের তথ্য বলছে, জালাল উদ্দিন আহমেদ ২০০৫ সালে নিজ পরিবারের সদস্যসহ কয়েকজনকে নিয়ে বহুমুখী সমবায় সমিতি গঠন করেন। একই সঙ্গে নিজের কিছু লোক নিয়ে ঢাকা সেনানিবাসের আশপাশে মাটিকাটা, মানিকদী, কাফরুল, ইব্রাহীমপুরে অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য এবং তাঁদের স্বজনদের বহুমুখী সমবায় সমিতিতে স্থায়ী আমানত জমা রাখতে উদ্বুদ্ধ করা হয়। অধিক প্রলোভনের লোভ দেখিয়ে ১ হাজার ৪৪৯ জনের কাছ থেকে ৫৯ কোটি ৩৯ লাখ ১ হাজার ৪৫৪ টাকা জমা নেওয়া হয়। পরে সেই টাকা বহুমুখী সমবায় সমিতির ব্যাংক হিসাবে না রেখে আত্মসাৎ করা হয় বলে মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে।