‘ঢাকঢোল পিটিয়ে নিরাপদ সড়ক দিবস পালন হয়, অথচ প্রাণহানি কমছে না’

‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস’ উপলক্ষে আজ শনিবার আয়োজিত এক র‍্যালি
ছবি: সংগৃহীত

প্রতিবছরই ঢাকঢোল পিটিয়ে নিরাপদ সড়ক দিবস পালন করা হয়। অথচ সড়কে প্রাণহানি কমছে না। দুর্ঘটনায় পঙ্গু হয়ে মানুষ পরিবার ও রাষ্ট্রের বোঝায় পরিণত হচ্ছেন। কিন্তু বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) দেখেও না দেখার ভান করে যাচ্ছে।

‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস’ উপলক্ষে আজ শনিবার আয়োজিত এক র‍্যালি শেষে এসব কথা বলেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘পাথওয়ে’–এর নির্বাহী পরিচালক মো. শাহিন। র‌্যালিটি রাজধানীর মিরপুর ১০ থেকে ১৪ নম্বরের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে মো. শাহিন বলেন, এখন সড়ক যেন মৃত্যুফাঁদ। আতঙ্ক নিয়ে সড়কে নামতে হয়। পরিবার ও আপনজনদের কাছে ফিরতে পারব কি না, শঙ্কা জাগে? এমন দুঃস্বপ্ন বহুদিন–বহুকাল ধরে তাড়া করছে।

ফিটনেসবিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে উল্লেখ করে মো. শাহীন বলেন, সারা দেশে মাত্র একটি  যানবাহন পরিদর্শন কেন্দ্র (ভেহিক্যাল ইন্সপেকশন সেন্টার) সচল। বাকি সব কটি অচল। এখানেও রয়েছে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের বড় রকমের উদাসীনতা। শুধু একটি কেন্দ্র থেকে সারা দেশের গাড়ির ফিটনেস দেওয়া হচ্ছে।

মো. শাহীন বলেন, বিআরটিএর অনুমোদিত নির্দিষ্ট প্রশিক্ষকের প্রশিক্ষণ ছাড়াই ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে। ১০ মিনিটের জিগজ্যাগ পরীক্ষা এক মিনিটে শেষ করে পার পেয়ে যাচ্ছেন পেশাদার-অপেশাদার সব পরীক্ষার্থী। এমন উদাসীনতাকে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া ঠিক নয়।