ভারত থেকে ২০০টি ব্রডগেজ রেলকোচ কেনার চুক্তি সই

২০০টি ব্রডগেজ যাত্রীবাহী কোচ আমদানি করতে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান আরআইটিইএস লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেছে রেলওয়েছবি: সংগৃহীত

রেলের সক্ষমতা বাড়াতে ২০০টি ব্রডগেজ যাত্রীবাহী কোচ আমদানি করতে যাচ্ছে রেলওয়ে। এ লক্ষ্যে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান আরআইটিইএস লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে।

আজ সোমবার বিকেলে ঢাকার রেলভবনে চুক্তিটি সই হয়। এই কোচগুলো কিনতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২০৫ কোটি টাকা। বাংলাদেশ সরকার ও ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (ইআইবি) যৌথ অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, চুক্তি অনুযায়ী কোচগুলো হবে স্টেইনলেস স্টিলের। এগুলো দ্রুতগতি সম্পন্ন। কোচে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (এসি) থাকবে। এ ছাড়া থাকছে স্বয়ংক্রিয় এয়ার ব্রেক পদ্ধতি, যা পরিবেশবান্ধব বলে বিবেচনা করা হয়।

নতুন কোচগুলো দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলোর সঙ্গে যুক্ত করার কথা বলছে রেলওয়ে। পদ্মা সেতু হয়ে গত বছর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। নতুন কোচগুলো এলে আরও বেশি যাত্রী পরিবহন করা যাবে।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম, মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবীর, রেলের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী, ভারতীয় কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাহুল মিত্তাল, ভারতীয় রেলওয়ের প্রোডাকশন ইউনিটের অতিরিক্ত সদস্য সঞ্জয় কুমার পঙ্কজ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব করপোরেশন মিচেল ক্রেজা প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেন, বর্তমানে রেলের বহরে ২ হাজার ১৬টি কোচ আছে। ওয়াগন রয়েছে ৩ হাজার ৯৫টি। পদ্মাসেতু হয়ে রেল চালুর মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে রেলের আওতা বেড়েছে। নতুন ট্রেন বাড়ানো হয়েছে। এসব ট্রেনে থাকা পুরোনো কোচগুলোর স্থলে নতুন কোচ সংযোজন করা হবে।

চুক্তিতে কবে থেকে কোচ সরবরাহ করা হবে, তা উল্লেখ নেই বলে জানান রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম। তিনি বলেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে যদি অন্তত দুটি কোচ পাওয়া যায়, তা–ও ভালো হবে। বাকিগুলো সূচি অনুযায়ী নেওয়া যাবে।

আরও পড়ুন

মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবির বলেন, নতুন কোচগুলো যুক্ত হলে রেলের গতি বেড়ে যাবে। এতে যাত্রীসেবা আরও বাড়বে।

রেলের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, রেলের লক্ষ্য হচ্ছে যোগাযোগ পরিধি বাড়ানো। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রেল–সংযোগ স্থাপন করা ও যাত্রীসেবা দেওয়া। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সেটা অনেকাংশে সম্ভব হবে।