আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ব্যক্তি বা পরিবারের সদস্যদের শেয়ার ১৫ ভাগের বেশি নয়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর কার্যালয়ে মন্ত্রিপরিষদের সভায় সভাপতিত্ব করেন। ঢাকা, ২৩ অক্টোবরছবি: পিআইডি

ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন, ২০২৩ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এই খসড়া আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি বা তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট পক্ষ অথবা একই পরিবারের সদস্যরা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ১৫ ভাগের বেশি শেয়ার কিনতে পারবেন না।

আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

বর্তমানে যাঁদের শেয়ার ১৫ শতাংশের বেশি আছে, সে বিষয়েও প্রস্তাবিত আইনে করণীয় ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই আইন কার্যকরের দুই বছরের মধ্যে অতিরিক্ত শেয়ার পরিবারের সদস্য নয় এবং ওই কোম্পানিতে শেয়ারের সর্বোচ্চ সীমা ধারণ করেন না, এমন ব্যক্তিদের কাছে হস্তান্তর করবেন। যদি না করা হয় তাহলে ওই শেয়ার সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হবে।

পরিবারের সংজ্ঞাও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে। পরিবার বলতে স্ত্রী বা স্বামী, পিতা-মাতা, পুত্র-কন্যা, ভাইবোন এবং ওই ব্যক্তির ওপর নির্ভরশীল সবাইকে বোঝাবে।

প্রস্তাবিত আইনে দুজন স্বতন্ত্র পরিচালকসহ ১৫ জন পরিচালক থাকা যাবে। প্রস্তাবিত আইনে বিভিন্ন অপরাধের সাজাও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

নাটোরে বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে

বৈঠকে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২৩–এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয়টি হবে নাটোরে।

বর্তমানে দেশে ৫৪টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে। সম্প্রতি তিনটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আর দেশে অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে ১১৩টি। এ ছাড়া দেশের ছয় জেলায় নতুন ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। জেলাগুলো হলো রাজবাড়ী, ভোলা, জয়পুরহাট, কক্সবাজার, নড়াইল ও বরগুনা। এগুলো হলে দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়াবে ৬০–এর বেশি।

গ্রাম আদালতের জরিমানার ক্ষমতা বাড়ছে

মন্ত্রিসভার বৈঠকে গ্রাম আদালত (সংশোধন) আইন, ২০২৩–এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এতে গ্রাম আদালতের জরিমানা করার ক্ষমতা ৭৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে টেকসই সরকারি ক্রয় নীতি (২০২৩) খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয় বৈঠকে।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, অনির্ধারিত আলোচনায় সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা যেন আরও বেশি উন্মুক্ত হয়, আরও বেশি অবাধ হয়, সেটি নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কিছু কোম্পানির সামর্থ্য নেই, কিন্তু তারাও কাজ পেয়ে যাচ্ছে। এতে কাজের বিলম্ব হচ্ছে। এ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সংশ্লিষ্ট বিধিবিধানের পরিবর্তন আনার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।